শিশু সুরক্ষায় ধূমপান নিষিদ্ধ করতে চলেছে ফ্রান্স
Published: 30th, May 2025 GMT
শিশুদের সুরক্ষার জন্য খোলা জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করতে চলেছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। নতুন এই পদক্ষেপের অধীনে দেশটিতে সমুদ্র সৈকত, স্কুলের আশপাশ ও পার্কসহ খোলা জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ফ্রান্স সরকার ঘোষণা করেছে, আগামী ১ জুলাই থেকে পার্ক, সমুদ্র সৈকত, স্কুলের আশপাশ, বাসস্টপ, খেলাধুলার মাঠসহ সব ধরনের খোলা জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা হবে—যেসব স্থানে শিশুদের যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ক্যাথরিন ভাত্রাঁ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, “যেখানে শিশু আছে, সেখানে তামাকের কোনও স্থান নেই। ধূমপানের স্বাধীনতা শেষ হওয়া উচিত, যেখানে শিশুরা মুক্তভাবে নিশ্বাস নেওয়ার অধিকার রাখে।”
যেসব স্থানে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে তার মধ্যে সমুদ্র সৈকত, পার্ক ও জনউদ্যান, স্কুলের বাইরের অংশ, বাসস্টপ ও খেলাধুলার মাঠ ও ভেন্যুও রয়েছে। তবে ক্যাফে ও তেরাস বা বারের বাইরের বসার জায়গা—এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
কার্যকর হতে যাওয়া এই নিয়ম ভাঙলে ১৩৫ ইউরো (প্রায় ১৫৩ ডলার) জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া এই নিয়ম কার্যকর করতে সাধারণ পুলিশ বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তবে মন্ত্রী আশা করছেন, মানুষ নিজেরাও নিয়ম মেনে চলবে।
অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা ইলেকট্রনিক সিগারেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তবে মন্ত্রী জানান, তিনি ই-সিগারেটে থাকা নিকোটিনের মাত্রা সীমিত করার জন্যও কাজ করছেন।
বিবিসি বলছে, ফ্রান্সে ধূমপানবিরোধী প্রচার নতুন নয়। ২০০৮ সাল থেকে দেশটিতে রেস্তোরাঁ, নাইটক্লাবসহ অভ্যন্তরীণ জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ। তবে বহুদিন ধরেই সৈকত ও পার্কে ধূমপান নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা থাকলেও আইনগত আদেশ না থাকায় তা বাস্তবায়ন হয়নি।
তবে ইতোমধ্যেই দেড় হাজারেরও বেশি পৌরসভা স্বেচ্ছায় এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। এমনকি ফ্রান্সের শত শত সৈকতও ধূমপানমুক্ত হয়েছে গত কয়েক বছরে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এই ন ষ ধ জ ঞ ক র যকর
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগ নেতার বাড়ির রান্নাঘরে বিস্ফোরণ, কিশোর দগ্ধ
চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ রাসেলের বাড়ির রান্নাঘরে বিস্ফোরণে এক কিশোর আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শহরের মসজিদপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত কিশোরের নাম সিহাব হোসেন (১৫)। তিনি শেখ রাসেলের খালাতো ভাই। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে।
ওই যুবলীগ নেতার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে আলামত পর্যবেক্ষণের পর স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা ভিন্ন কথা জানান। তাঁরা বলছেন, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাসস্টোভ ও পাইপ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমেছে।
শেখ রাসেলের বোন সেবু খাতুন বলেন, গতকাল রাতে তাঁর মা বিনা খাতুন রান্নাঘরে গিয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে পারেননি। এরপর নিচে নেমে সিহাবকে ডেকে নিয়ে যান। সিহাব রান্নাঘরে ঢুকেই বৈদ্যুতিক বাতির সুইচ অন করতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিনা খাতুনের ভাষ্য, গ্যাসস্টোভ বন্ধ না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চুয়াডাঙ্গার স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও আলামত তা বলছে না। কারণ, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার (বোতল), গ্যাসস্টোভ ও পাইপ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ কারণে অধিকতর তদন্ত দরকার।
বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আলামত সংগ্রহ করেছে জানিয়ে পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও ঝিনাইদহের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।