এবার তথ্যচিত্রে তুলে আনা হচ্ছে বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের শিল্পী ও ব্যক্তিজীবনের নানা অধ্যায়। শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সর্বাধিক ১৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার সম্মাননায় ভূষিত এ শিল্পীর তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন শাইখ সিরাজ।

এরই মধ্যে চ্যানেল আই ও সাবিনা ইয়াসমিনের বাসায় তথ্যচিত্রের বেশ কিছু অংশের দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। কয়েক দিনের বিরতির পর আজ পুনরায় শুরু হচ্ছে তথ্যচিত্রের বাকি অংশের কাজ। সাবিনা ইয়াসমিন কথায়, সংগীতের দীর্ঘ সফরে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। গানের সূত্র ধরেই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে শিল্পী আর ব্যক্তিজীবন। অসংখ্য চড়াই-উতরাই অতিক্রমের মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছে সেই সফরনামার অধ্যায়গুলো, যা তুলে আনা হচ্ছে তথ্যচিত্রে। 

এদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে সম্প্রতি কানাডা সফর করে এসেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। কানাডার টরন্টোতে আয়োজিত একটি শো’তে পারফর্ম করেছেন তিনি। গানে গানে আর একবার মুগ্ধ করেছেন ভক্ত-অনুরাগীদের। এ নিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘যারা বয়স আর অসুস্থার ভয় দেখিয়ে মঞ্চে ছুটে যাওয়া বাধা দেন, তারা হয়তো জানেন না, বয়স আসলে একটা সংখ্যা মাত্র। মনের শক্তিতে এখনও অনেক কিছু করা সম্ভব, যার প্রমাণ আরও একবার মিলেছে কানাডার টরন্টোতে গিয়ে। টরন্টোর শোতে দর্শকের উপচেপড়া ভিড়, প্রতিটি গানে তাদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন আরও একবার নতুন করে উপলব্ধি হয়েছে, প্রবাসী বাঙালিরা আমাকে কতটা ভালোবাসে, আমার গানের জন্য এখনও তারা কতটা তৃষিত। এ কারণে যেখানে ১৫টি গান গেয়েই শো শেষ করার কথা ছিল, সেখানে বাড়তি আরও কয়েকটি গান গাইতে হয়েছে। দর্শক-শ্রোতাদের ভালোবাসার শক্তিতেই একের পর এক গান গেয়ে গেছি। এই সফর স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

কানাডা সফর শেষে তথ্যচিত্রের শুটিং ছাড়াও সাবিনা ইয়াসমিন অংশ নিয়েছেন বিটিভির ঈদ ম্যাগাজিন ‘আনন্দ মেলা’য়। এ আয়োজনে তাঁর কণ্ঠে আরও একবার শোনা যাবে নতুন সংগীতায়োজনে রেকর্ড করা ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’ গানটি।  
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত