বর্তমানে বিএনপি দেশের প্রধান শহরগুলোয় ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শিরোনামে একটি কর্মসূচি পালন করছে। এতে ব্যাপক জনসমাগম হচ্ছে। বিএনপির নিজস্ব নেতাদের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন পেশার সফল ব্যক্তিরা তাঁদের অভিমত ও ভাবনা তুলে ধরছেন। এ কাজের মাধ্যমে বিএনপি নিজেদের ওপর বুড়োদের দলের যে দাগ, তা মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপির শুরুটা কিন্তু এ রকম ছিল না।

জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৪১ বছর। বাংলাদেশের ইতিহাসের তরুণতম রাষ্ট্রনেতা। এখন আমরা এত কমবয়সী একজন সংসদ সদস্যকেও মেনে নিতে পারি না। এটাই দেশের বাস্তবতা।

দেশের সেই সময়ে জিয়ার রাষ্ট্রচিন্তার অন্যতম চারটি স্তম্ভ ছিল স্পষ্ট—শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৌলিক অধিকার ও তরুণদের ক্ষমতায়ন। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর কিছু উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পথপ্রদর্শক, আবার কিছু ছিল বিতর্কিত বা অসমাপ্ত। চারটি ক্ষেত্রেই যদি ফিরে তাকাই, তবে কিছু যোগসূত্র পাই, যা কেন তাঁর দল নতুনভাবে তুলে ধরছে, তা বোঝা সম্ভব।

শিক্ষা

সবার জন্য উপযোগী শিক্ষা—এই মূলমন্ত্রে জিয়াউর রহমান চাইতেন এমন একটি ব্যবস্থাপনা, যা শুধু পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং জীবনঘনিষ্ঠ ও কর্মমুখী হবে। ১৯৭৮ সালে এম এ বারীর নেতৃত্বে গঠিত শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ ছিল প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক, কারিগরি ও ভোকেশনাল ধারায় গুরুত্ব বৃদ্ধি এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে সংযুক্ত করা।

জিয়ার সময় প্রায় ১২ হাজার ‘কমিউনিটি স্কুল’ স্থাপনের পরিকল্পনা হয়। ১৯৭৮-৮১ সময়ে প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তি হার প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে যায়, যা তার আগের বছরে ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ (ইউনিসেফ)। অথচ আজ ২০২৫ সালে এসেও আমাদের দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৯ শতাংশ শিশু পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পৌঁছায় না এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার ৩৭ শতাংশ (ব্যানবেইস, ২০২৩)।

বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, স্মার্ট ক্লাসরুম, ট্যাব বিতরণ হচ্ছে ঠিকই; কিন্তু কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি হার এখনো মাত্র ১৬ শতাংশ, যেখানে জিয়ার সময়ে সেই হার ছিল ৮ শতাংশ—অগ্রগতি স্পষ্ট হলেও কাঙ্ক্ষিত নয়। সময়ের সঙ্গে কারিগরি শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মান উন্নয়ন না হওয়ায় এখনো তারা নিজ যোগ্যতা দিয়ে অবস্থানে পৌঁছাতে পারছে না, দেশকেও দিতে পারছে না প্রয়োজনীয় সহযোগিতা। অথচ চার দশক আগে জিয়ার ভাষণে আমরা শুনি, ‘দেশের কৃষক, শ্রমিক, তরুণ—তাদের হাতে চাই দক্ষতার চাবিকাঠি, সনদের ভার নয়।’

আরও পড়ুনজাতি গঠনের যে জরুরি কাজটি করেছেন জিয়া২ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্য

গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা বিস্তারে জিয়ার নীতিগত অবস্থান ছিল অনেকটাই বিকেন্দ্রীকরণমুখী। তাঁর সময়ে স্বাস্থ্য বাজেটে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ—আজ তা নেমে এসেছে ৪ দশমিক ৭ শতাংশে (জাতীয় বাজেট, ২০২৪-২৫)। তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সহায়ক কেন্দ্র স্থাপন করেন এবং ১৮ হাজার টিউবওয়েল বসানো হয় নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে। ১৯৮০ সালের মধ্যে ৫টি বিভাগের ৩৭টি উপজেলায় শিশু টিকা কর্মসূচি (ইপিআই) চালু হয়। ১৯৮০ সালের মধ্যে ৪০০টির বেশি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে ছিল।

সে সময় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসচেতনতা কার্যক্রম চলছিল, যা গ্রামীণ স্বাস্থ্যব্যবস্থায় একটি কাঠামোগত রূপ দিয়েছিল। অথচ আজও ইউনিসেফের তথ্যমতে, ৩৩ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পায়খানাব্যবস্থার বাইরে। আজকের ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ বা পরিবার পরিকল্পনাভিত্তিক প্রাথমিক সেবার ধারণার বীজ অনেকটা সেখানেই।

জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে ‘ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট’ ক্যাম্পেইন শুরু করে, যা আসলে পরে এক সন্তানে নিয়ে আসার প্ল্যান ছিল। কিন্তু অন্যরা কেউ সেই নীতি নিয়ে কাজ না করতে পারায় দেশে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটেছে।

জিয়া বারবার বলতেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা নাগরিক অধিকার’—তাকে একটি রাষ্ট্রীয় করুণা নয়, বরং দায়িত্ব হিসেবে দেখতেন তিনি। এখনো আমাদের ৭০ শতাংশ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল নয় (টিআইবি, ২০২২)। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনো স্বাস্থ্যসেবা হয়ে আছে শহরমুখী, বেসরকারিকেন্দ্রিক ও দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা ২০ শতাংশ মানুষের জন্য প্রায় অপ্রাপ্য।

আরও পড়ুনপররাষ্ট্রনীতিতে জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে যে শিক্ষা নিতে পারে বাংলাদেশ১৪ ঘণ্টা আগেমৌলিক অধিকার

জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী এনে মৌলিক অধিকারের দিকটি পুনর্গঠন করেন। তিনি ‘সমবায়ভিত্তিক অর্থনীতি’ ও ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’ ধারণায় বারবার জোর দেন।

‘ভিশন-১৯৮৫’ শিরোনামে ঘোষিত জিয়ার পরিকল্পনায় খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য—এই পাঁচটি মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণের দিকনির্দেশনা ছিল। গুচ্ছগ্রাম, সমবায়ভিত্তিক অর্থনীতি, ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বিতরণ—এসব প্রকল্পে তাঁর চিন্তা ছিল আত্মনির্ভর রাষ্ট্র গঠনের।

১৯৭৮ সালে গৃহীত ‘ভূমি সংস্কার নীতিমালা’, যার মাধ্যমে ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বণ্টন, গুচ্ছগ্রাম গঠন এবং স্বনির্ভরতা নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ ছিল উল্লেখযোগ্য। আজকের দিনে এসেও ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি (বিবিএস, ২০২২)। ১৯৮১ সালে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাসকারী মানুষে ছিল ৭১ শতাংশ, যা ১৯৭৫ সালের তুলনায় ১১ শতাংশ কম (বিবিএস)। আজ সেটি নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে (বিবিএস, ২০২২), কিন্তু বৈষম্যের ব্যবধান বেড়েছে। ২০২৩ সালে ও ৩ কোটির বেশি মানুষ এখনো খাদ্য ও বাসস্থান অনিশ্চয়তার মধ্যে।

তারুণ্য

‘জাতি গঠনে তরুণদের জাগিয়ে তুলতে হবে’—এই বিশ্বাসে জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে গঠন করেন জাতীয় যুব সংস্থা। ১৯৮১ সালের মধ্যেই প্রায় ৬৫ হাজার যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ, ঋণ ও উদ্যোক্তা সহায়তা দেওয়া হয়, যার মধ্যে ৩১ শতাংশ নিজ উদ্দ্যেগে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। এর অংশ হিসেবে ‘ইয়ুথ ক্লাব’, ‘স্বনির্ভরতা কর্মসূচি’, ‘বেকার ভাতা ও প্রশিক্ষণ প্রকল্প’ বাস্তবায়িত হয়।

এর বাইরে ‘জাগো তরুণ’ নামে এক সাংস্কৃতিক-সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যুবকদের মধ্যে দেশপ্রেম, নেতৃত্ব ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরি করার চেষ্টা ছিল।

আজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আছে, আছে উদ্যোক্তা পোর্টাল, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম—তবে পরিসংখ্যান বলছে, তরুণ বেকারত্বের হার এখনো ১২ দশমিক ৮ শতাংশ (আইএলও, ২০২৩), যেখানে ৮০ শতাংশই উচ্চশিক্ষিত।

তবে এসব কার্যক্রম নিয়েও সমালোচনাও আছে। সেবাগুলোর মান বজায় রাখা যায়নি, দক্ষ চিকিৎসাকর্মীর অভাব ছিল এবং ওষুধ সরবরাহ ছিল অপ্রতুল। স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনায় ‘সামরিক কাঠামো’ প্রয়োগের সমালোচনা হয়েছিল।

জিয়ার আমলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কাঠামোগত সংস্কার হয়নি, বরং ছাত্ররাজনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সৃজনশীলতা, উচ্চতর জ্ঞানচর্চা কিংবা গবেষণাধর্মী শিক্ষা এই পরিসরে অনুপস্থিত ছিল। বাস্তবে এই সমস্যা থেকে এখনো মুক্ত হতে পারেনি দেশ। সংবাদপত্র, বিরোধী মত ও মতপ্রকাশের ক্ষেত্র নিয়েও সমালোচনা ছিল। তরুণদের ‘রাষ্ট্রের অনুগত’–তে পরিণত করার চেষ্টার ও অভিযোগ পাওয়া যায়।

জিয়া রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের কিছু ভিত্তি তৈরি করেছিলেন—শিক্ষাকে কর্মমুখী করা, স্বাস্থ্যসেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, মৌলিক অধিকারকে উন্নয়ন কাঠামোর কেন্দ্রে আনা এবং তরুণ সমাজকে রাষ্ট্রীয় রূপান্তরে যুক্ত করা। কিন্তু সেই কাঠামোগুলো সময়ের দুঃশাসন, অব্যবস্থাপনা ও রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতায় শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি।

বিএনপির স্লোগানে সব সময়ই ‘আমরা জিয়ার সৈনিক’ শব্দগুলো থাকে। কিন্তু কয়জন জিয়ার ভিশনের কথা জানেন? এখন বিএনপির নাম বললে টেম্পোস্ট্যান্ড দখলের ট্যাগ শোনা যায়, কিন্তু জিয়ার স্বপ্নের তরুণদের দল তো এমন ছিল না।

আমরা ভিশন ২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ কিংবা এআই ইনোভেশন নিয়ে যত কথাই বলি, তখন প্রশ্ন আসে: আমাদের মৌলিক চিন্তার ভিত্তি কি মজবুত হয়েছে? আজকের শিক্ষানীতি কি আমাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করছে? স্বাস্থ্যসেবা কি নাগরিক আস্থার জায়গায় আছে? তরুণেরা কি শুধুই ইউটিউবে ব্যস্ত, নাকি রাষ্ট্রচিন্তার অংশীদার?

সুবাইল বিন আলম টেকসই উন্নয়নবিষয়ক কলামিস্ট। ই–মেইল: [email protected]

(মতামত লেখকের নিজস্ব)

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ব যবস থ আম দ র দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ