শেরপুরে ভিজিডির ৯৬ বস্তা চাল জব্দ, বিএনপি নেতা আটক
Published: 30th, May 2025 GMT
শেরপুরের নকলা উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ভিজিডি) ৯৬ বস্তা সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত রাখার অভিযোগে চর অষ্টধর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়াকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চর অষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা বাজারে অভিযান চালিয়ে পৃথক দুটি স্থানে এসব চাল জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নকলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ তাকী তাজওয়ার। অভিযানে সেনাবাহিনী ও থানা-পুলিশের দুটি দল সহায়তা করে।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাহজাহান মিয়া দীর্ঘদিন ধরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ও টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করে নারায়ণখোলা বাজারের নূর ইসলামের মার্কেটের একটি কক্ষে মজুত রাখতেন। সেসব পণ্য অধিক দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারজাত করার প্রস্তুতির সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। প্রথম দফায় নারায়ণখোলা বাজারের শাহজাহান বেকারির পাশে নূর ইসলামের মার্কেট থেকে ৪১ বস্তা চালসহ শাহজাহান মিয়াকে আটক করা হয়। পরে নারায়ণখোলা হাজী মোড় এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের দুটি কক্ষ থেকে আরও ৫৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। তবে ওই স্থানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আটক ব্যক্তি ও জব্দ চাল থানায় রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্র বলেন, জব্দ চাল ও অভিযুক্ত ব্যক্তি থানায় রয়েছেন। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীবরদীতে ভারতীয় জিরা নিয়ে তুলকালাম
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে ১৬ বস্তা ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সেসব জিরা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অন্য একটি পক্ষ আবার সেই জিরা আটক করে। এ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে হাসধরা এলাকায় দ্বিতীয়বার আটক হয়। এসময় স্থানীয়রা বেশকিছু বস্তা জিরা লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল উদ্ধার করে তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় বোঝাই একটি ট্রলি ঝিনাইগাতী থেকে ভায়াডাঙ্গা বাজার দিয়ে শ্রীবরদী হয়ে শেরপুরের দিকে যাচ্ছিলো। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ট্রলিটি আটক করে। এসময় ট্রলি চালক কৌশলে পালিয়ে যায়।
সেসময় স্থানীয় অপর একটি পক্ষ সুকৌশলে আরেক চালককে দিয়ে ট্রলিটি সরিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হাসধরা এলাকায় ট্রলিটি আবার আটক হয়। এসময় প্রায় অর্ধেক মালামাল লুট করে এক পক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইমন আকন্দ বলেন, “আমরা ভায়াডাঙ্গা বাজারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন নেতা নতুন করে অন্য ড্রাইভার দিয়ে ট্রলি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা অবৈধ পাচার হওয়া মালামাল জব্দ হোক এটাই চাই। এছাড়াও যারা মালামাল লুট করেছে এবং এই পাচারের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।”
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আতিয়ার রহমান বলেন, “আমরা স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৬ বস্তা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছি। এই ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।”
শ্রীবরদী থানার উপ-পরিদর্শক সুলতান আহমেদ বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই বিজিবি মালামাল জব্দ করেছে। এই ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/তারিকুল/এস