ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু
Published: 30th, May 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুরের লড়াইঘাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত ওই ব্যক্তির নাম নাসির উদ্দিন (৪০)। তিনি উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের লুৎফর মন্ডলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি মে মাসের ১৭ তারিখ রাত ৮টার দিকে মহেশপুর উপজেলার লড়াইঘাট বিওপি সংলগ্ন (বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করানোর সময়) সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে নাসির, সোহাগ ও রিপন। ওই সময় ভারতের পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে তাদের মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে নাসির বুক, পেট ও পায়ে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন। ওই সময় সোহাগ ও রিপন সামান্য আহত হন। পরে সীমান্ত থেকে আহতের স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সোহাগ ও রিপনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং নাসিরকে প্রথমে চুয়াডাঙ্গার একটি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নাসিরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে নাসির মারা যান।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সমকালকে জানান, সীমান্তে বিএসএফের ছররা গুলিতে আহত নাসিরের মৃত্যু হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফট্যানান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, গত ১৭ তারিখে সীমান্তে একটি ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ স ম ন ত হত য ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।