টফির ভিআইপি প্যাকে ১০ হাজারের বেশি কনটেন্ট উপভোগের সুযোগ
Published: 30th, May 2025 GMT
প্রথমবারের মতো ভিআইপি প্যাক চালু করল দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘টফি’। সম্প্রতি উন্মোচিত হওয়া ভিআইপি প্যাকের মাধ্যমে গ্রাহকেরা স্বাচ্ছন্দ্যে টফিতে সিনেমা, সিরিজ, খেলাধুলা, এক্সক্লুসিভ শোসহ ১০ হাজারেরও বেশি কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন।
সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন হিসেবে টফির ভিআইপি প্যাক সাবস্ক্রাইব করা যাবে। সাশ্রয়ী খরচে যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে বিনোদন উপভোগের সুযোগ নিশ্চিতে টফি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সবার জন্য ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এই ভিআইপি প্যাক চালু করেছে টফি।
এ বিষয়ে বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘টফি শুধু বিনোদনই নয়; বরং সামগ্রিকভাবে সবার ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে আরও সাবলীল ও উপভোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। ভিআইপি প্যাকস চালুর মাধ্যমে সাশ্রয়ী খরচে প্রিমিয়াম কনটেন্টকে আমরা আরও সহজলভ্য করে তুলেছি, যা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।’
ভিআইপি প্যাকের সাবস্ক্রিপশন ফি ৭ দিনের জন্য ৭৬ টাকা, ৩০ দিনের জন্য ১২৬ টাকা, ৯০ দিনের জন্য ২৭৬ টাকা এবং ৩৬৫ দিনের জন্য ৬৩৬ টাকা। সমৃদ্ধ কনটেন্ট লাইব্রেরি সবার হাতের নাগালে নিয়ে আসতে ৭ দিন এবং ৩০ দিনমেয়াদি বাংলালিংক ডেটা প্যাকেও টফি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সুযোগ আজ থেকে কার্যকর হবে।
প্রথমবারের মতো টফির ব্যবহারকারীরা সব ধরনের প্রিমিয়াম কনটেন্ট আনলিমিটেড উপভোগ করার সুযোগ পাবেন, যার মধ্যে রয়েছে ৪০টির বেশি টিভি চ্যানেল, লাইভ টিভি, বাংলা ডাব করা কোরিয়ান ও তুর্কি নাটক, লাইভ স্পোর্টসসহ নানা ধরনের আকর্ষণীয় কনটেন্ট।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ন র জন য কনট ন ট ভ আইপ উপভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন