পাবনার চাটমোহরে ট্রেনে কাটা পড়ে বন্যা খাতুন (১৭) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলপথের জগতলা এলাকায় মারা যায় সে। 

মারা যাওয়া বন্যা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের চকউথূলী গ্রামের মৃত আরজান আলীর মেয়ে।

কিশোরীর পারিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় বন্যা খাতুন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ ছিল না। দুপুরে পরিবার জানতে পারে, জগতলা এলাকায় ঢাকাগামী আন্তঃনগর চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে বন্যা মারা গেছে।

আরো পড়ুন:

শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধার মৃত্যু

বাথরুমে পড়ে ছিল সমবায় কর্মকর্তার মরদেহ

প্রত্যক্ষদর্শী সাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “জঙ্গলের ভেতর থেকে হঠাৎ ওই কিশোরী চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। এলাকাবাসী রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন এসে কিশোরীর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান।”

সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) ওসি দুলাল হোসেন জানান, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ