ভবিষ্যতে পাকিস্তানের যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে ভারত তার নৌবাহিনীর অস্ত্রশক্তি ব্যবহার করবে। শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এ তথ্য জানিয়েছেন।

পশ্চিম ভারতের গোয়া রাজ্যের উপকূলে বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনাদের উদ্দেশে রাজনাথ সিং বলেছেন, “যদি পাকিস্তান কোনো খারাপ বা অনৈতিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এবার ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্রশক্তি এবং ক্রোধের মুখোমুখি হবে।”

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ১২ মে বলেছিলেন, যখনই পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ‘হুমকির সম্মুখীন হবে এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘিত হবে’ তখনই ‘ব্যাপক এবং সিদ্ধান্তমূলক’ প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

২২ এপ্রিল কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। নয়াদিল্লি এই হামলায় মদদ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছিল। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপরেও ৭ মে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যে অপারেশ সিঁদুর পরিচালনা করেছিল তা স্থগিত হয়েছে; কিন্তু বাতিল হয়নি।

তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের শর্তে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করেছি। আমাদের বাহিনী এখনো তাদের শক্তি দেখানো শুরু করেনি।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ