জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লাইন মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। এ ঘটনায় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার কামরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ বিপুল (৩০)। তিনি উপজেলার পঞ্চবীর এলাকার মো.

সোহরাব আলীর ছেলে। তিনি উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের মাস্টাররোলের লাইনম্যান ছিলেন।

আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মোতালেব (৪০) ও মো. বাদল (৩৫)। তাঁরা দুজন একই কার্যালয়ের লাইনম্যান। তাঁরা দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উপজেলার বাউসী এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের লাইনের সমস্যা হয়। খবর পেয়ে ওই তিনজন লাইন মেরামত করতে যান। ওই লাইনের সঙ্গেই পিডির লাইনের তারও ছিল। পল্লী বিদ্যুতের লাইন মেরামতের সময় পিডির লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই বিপুলের মৃত্যুর হয়। অন্য দুজন গুরুতর আহত হন। বিপুলের মৃত্যুর খবরে তাঁর এলাকার লোকজন একত্র হয়ে উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, একজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে লোকজন পল্লী বিদ্যুতের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। তাঁরা অফিসের নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধর করেছেন। এ ছাড়া দুটি মোটরসাইকেল ও সাতটি জানালা ভাঙচুর করেছেন। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইনম য ন পর স থ ত র ল ইন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ