বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লাইনম্যানের মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর বিক্ষুব্ধদের
Published: 30th, May 2025 GMT
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লাইন মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। এ ঘটনায় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার কামরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ বিপুল (৩০)। তিনি উপজেলার পঞ্চবীর এলাকার মো.
আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মোতালেব (৪০) ও মো. বাদল (৩৫)। তাঁরা দুজন একই কার্যালয়ের লাইনম্যান। তাঁরা দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উপজেলার বাউসী এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের লাইনের সমস্যা হয়। খবর পেয়ে ওই তিনজন লাইন মেরামত করতে যান। ওই লাইনের সঙ্গেই পিডির লাইনের তারও ছিল। পল্লী বিদ্যুতের লাইন মেরামতের সময় পিডির লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই বিপুলের মৃত্যুর হয়। অন্য দুজন গুরুতর আহত হন। বিপুলের মৃত্যুর খবরে তাঁর এলাকার লোকজন একত্র হয়ে উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, একজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে লোকজন পল্লী বিদ্যুতের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। তাঁরা অফিসের নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধর করেছেন। এ ছাড়া দুটি মোটরসাইকেল ও সাতটি জানালা ভাঙচুর করেছেন। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইনম য ন পর স থ ত র ল ইন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দুই জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল পাঁচজনের
দুই জেলায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে তিনজন এবং শেরপুরে দু’জনের প্রাণহানি হয়েছে। শনিবার এসব ঘটনা ঘটে। নিজেস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর–
জানা গেছে, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ লামকাইন গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ মিয়া ব্রহ্মপুত্র নদের চরে গরু চড়াতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় তাঁর দুটি গরুও বজ্রপাতে মারা গেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলম।
একই দিন নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল হক বৃষ্টিতে ভিজে বাইরে খেলা করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা গেছে।
নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেলুর রহমান জানান, দুপুরে হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এ সময় বৃষ্টিতে ভিজে বাইরে খেলতে গিয়ে শিশু সাইদুল হক বজ্রপাতের শিকার হয়।
এ ছাড়া ফুলবাড়িয়ায় বজ্রপাতে শফিকুল ইসলাম নামে এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। কালাদহ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রাজমিস্ত্রি শফিকুল সন্ধ্যার আগে কাজ শেষ করে ফেরার পথে বাড়ির পাশে আমগাছের নিচে আশ্রয় নিলে বজ্রপাতের শিকার হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রোকনুজ্জামান।
একই দিনে শেরপুরের নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পশ্চিম বড় পাগলা গ্রামে বজ্রপাতের শব্দে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষক সমির উদ্দিন সমু নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তাঁর পরিবার জানায়, ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে দুপুরে মাঠে গরু আনতে যান সমির। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার কাঁকরকান্দি ইউনিয়নের মানিককুড়া গ্রামে শনিবার দুপুরে বজ্রপাতে হাজেরা খাতুন নামে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি একই গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী।
জানা গেছে, স্থানীয় হাজিমোড় এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তাঁর নাতনি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে নাতনিকে আনতে মাদ্রাসায় যান তিনি। ফেরার পথে তাঁর ওপর বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হন। তবে সঙ্গে থাকা নাতনির কিছু হয়নি। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, পথেই মারা গেছেন তিনি।