অপু বিশ্বাসের জীবনের গল্পের একটি বড় অংশ দখল করে আছেন শাকিব খান। প্রথমত পেশাগত কারণে, দ্বিতীয়ত ব্যক্তিগত কারণে। তবে বিগত কয়েক বছরে শাকিব খানের সঙ্গে অপুর দাম্পত্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। তাদের প্রেমের গল্প ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছে বিয়ে আর সন্তান।

শুরুতে অপুকে বিয়ে করার কথা পুরোপুরি গোপন রাখতে বলেছিলেন শাকিব খান। নায়কের ক্যারিয়ারের গ্রাফ তখন ক্রমে ওপরের দিকে। সে সময় মেনে নিয়েছিলেন অপু। কিন্তু ছেলে হওয়ার পর সব প্রকাশ্যে-গণমাধ্যমে জানিয়ে দেন নায়িকা। তারপর শাকিব অপুকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা।

সে সময় আলোচনায় এসেছিলো অপুর ধর্মীয় পরিচয়ও। অপু বলেছিলেন— ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে, নাম পাল্টে বিয়ে করেছেন তিনি। কিন্তু এরপরে আবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু জানিয়েছিলেন,  আসলে তিনি বরাবরই হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন এবং ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে মিথ্যা বলতে হয়েছিল ক্যারিয়ার এবং সন্তানের কথা ভেবে।

আরো পড়ুন:

বুবলীর ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাসের পোস্ট মর্টেম করছেন নেটিজেনরা

শাকিব-বীরের ছবি, ক্যাপশনে বুবলী-অপুর ঠান্ডা যুদ্ধ!

যে সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস এসব কথা বলেছিলেন, সেই সাক্ষাৎকারের সঞ্চালনায় ছিলেন দেশের আলোচিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়।

বিষয়টি নিয়ে ফের সংবাদ ও বিতর্ক তৈরি হতেই সামাজিক মাধ্যমে অপুর উদ্দেশ্যে জয় লিখেছেন, ‘‘প্রিয় অপু বিশ্বাস।ধর্ম নিয়ে মিথ্যা কথা বলা যায় না। ধর্ম নিয়ে মিথ্যে মানে তুমি একবার বিশ্বাস করছো আল্লাহকে। আরেকবার বলছো বিশ্বাস করো না। মুসলমান ভাই বোনেরা তোমার এই মিথ্যাতে কষ্ট পেয়েছে।একইভাবে তোমার ধর্মের মানুষও তাতে বিব্রত হয়েছে। ক্যারিয়ার স্বামী সন্তান সব কিছুকে ব্যালেন্স করতে গিয়ে তুমি যে মিথ্যার আশ্রয়টি নিয়েছো তা তোমাকে আশ্রয়হীন বানিয়ে দিয়েছে। তোমার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষমা করে দেওয়া এই দুইটি বিষয়ই অনেক বড় মহত্ত্বের কাজ। তুমি মহৎ হও, অন্যরাও তোমার সাথে মহত্ত্বের পরিচয় দেবে।’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপ ব শ ব স

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ