গ্রীষ্মকালে, এমনিতেই অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ব্যায়াম করলে আরও বেশি ঘাম ঝরে। তখন শরীর বেশি পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এ কারণে ব্যায়ামের আগে ও পরে হাইড্রেট থাকা গুরুত্বপূর্ণ। 

ব্যায়ামের আগে
ব্যয়ামের আগে শরীর সতেজ রাখা জরুরি। ভারতীয় পুষ্টিবিদ মুগ্ধা প্রধানের মতে, ডায়াবেটিস না থাকলে ব্যায়ামের আগে কলার মতো হালকা খাবার খেতে পারেন। এটি পেশিতে শক্তি সরবরাহ করতে সহায়তা করে। আপনি যদি একজন ক্রীড়াবিদ হন অথবা ভারী ব্যায়াম করতে চান, তাহলে আপনার খাবারে সামান্য প্রোটিন যেমন সিদ্ধ ডিম যোগ করা করতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনি যে খাবার খাবেন তা হালকা হওয়া উচিত যাতে আপনার শরীর হজমের জন্য খুব বেশি শক্তি ব্যয় না করে অথবা আপনার পেটে খুব বেশি ভারী বোধ না হয়।

হাইড্রেশন
হাইড্রেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ গ্রীষ্মকালে,ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে ঘাম এবং খনিজ ঝরে যায়। ব্যায়ামের আগে শরীরের পানি ঘাটতি পূরণে পানি পান করুন। শরীরে ইলেক্টোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে ডাবের পানি খেতে পারেন। 

ব্যায়ামের পরে
শরীরের শক্তি বজায় রাখতে পুষ্টির প্রয়োজন। ব্যায়ামের ৩০ মিনিট পরে এক বাটি ভাত, ( ডায়াবেটিস না থাকলে) মুরগি বা মাছের সাথে শাকসবজি খান। কলা, প্রোটিন পাউডার এবং নারকেল দিয়ে তৈরি স্মুদিও খেতে পারেন, যা ব্যায়ামের পরে শক্তির জন্য দুর্দান্ত বিকল্প। এছাড়াও, শসা এবং তরমুজের মতো হাইড্রেটিং খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এসব খাবার শরীরকে ঠান্ডা করতে এবং পানির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।

গ্রীষ্মকালে খাবার হালকা, তাজা এবং পুষ্টিতে সমৃদ্ধ রাখার চেষ্টা করুন। ব্যায়ামের আগে ও পরে অতিরিক্ত মসলাদার এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। শরীর হাইড্রেট রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং তরল খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব য য় ম র আগ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ