সৌদি আরবে হজে গিয়ে মো. আবুল কালাম আজাদ (৬৫) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আবুল কালাম আজাদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছিলেন।

শনিবার (৩১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন। 

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ২টার সময় মক্কায় মৃত্যু হয় তার।    

অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন জানান, গত ২৮ এপ্রিল আবুল কালাম আজাদ পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে স্ত্রীসহ সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে মক্কা শরীফে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। মরহুমের জানাজা ও দাফন সৌদি আরবেই সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা/সুজন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করবে তুরস্ক

বাংলাদেশে অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করবে তুরস্ক। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. কেমাল মেমিসওলোর সঙ্গে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হকের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। 

রোববার আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এতে বলা হয়, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বাংলাদেশে তুরস্কের হাসপাতাল নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার পর্যাপ্ত জায়গা বরাদ্দ না দেওয়ায় হাসপাতালটি আলোর মুখ দেখেনি। বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর সাম্প্রতিক তুরস্ক ভ্রমণকালীন বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের জায়গা বরাদ্দবিষয়ক সমস্যাটি তুলে ধরে। তিনি নিশ্চয়তা দেন, জায়গা বরাদ্দ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক। সে পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পুনরায় বিষয়টিতে জোর দেন। তিনি তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। 

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে জানান, শিগগিরই একটি কমিটি গঠন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তুরস্কের হাসপাতালটি নির্মাণ হলে যেন বাংলাদেশিদের তত্ত্বাবধানেই পরিপূর্ণভাবে পরিচালিত হতে পারে সেজন্য প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। এটি নির্মাণ হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বড় পরিবর্তন হবে এবং জটিল রোগীদের তখন বিদেশমুখী হতে হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জুলাই অভ্যুত্থানে আহত সাতজন বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থার জন্য তুরস্ক সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়াও তিনি প্রস্তাব করেন, সম্ভব হলে আরও আহত বাংলাদেশিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য তুরস্কে আনার সুযোগ দিতে। এর উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহত রোগীদের মধ্যে যাদের উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ করা সম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়, তাদের একটি তালিকা দিতে অনুরোধ করেন। 

বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্সদের তুরস্কে প্রশিক্ষণ প্রদান, জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রমে সহায়তা দিতে তুরস্ক থেকে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পাঠানো এবং অভ্যুত্থানে যারা অঙ্গ হারিয়েছেন তাদের কৃত্রিম অঙ্গ স্থাপনে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। উভয় দেশের কল্যাণে স্বাস্থ্যখাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়াতে পারস্পরিক সদিচ্ছা এবং যৌথ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ