যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাক থেকে পালিয়ে গেলে ২৫ কোটি মৌমাছি, সতর্কতা জারি
Published: 31st, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে উল্টে পড়া একটি ট্রাক থেকে আনুমানিক ২৫ কোটি মৌমাছি পালিয়ে গেছে। এতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সতর্কতা জারি করে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৩০ মে) ওয়াশিংটনের কানাডার সীমানার কাছে একটি দুর্ঘটনায় মৌমাছি বহনকারী প্রায় ৩১ হাজার ৭৫০ কেজি ওজনের একটি ট্রাক উল্টে যায়। এতে মৌচাকভর্তি বাক্সগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে এবং বিপুলসংখ্যক মৌমাছি মুক্ত হয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলতে চান ট্রাম্প
‘বন্ধুত্বহীন ও হস্তক্ষেপকারী’: শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিককে তিরস্কার করল কিউবা
ওয়াটকম কাউন্টি শেরিফ কার্যালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “২৫ কোটি মৌমাছি এখন মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। মৌমাছি দলবেঁধে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকায় অনুগ্রহ করে এলাকাটি এড়িয়ে চলুন।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পর দুই ডজনের বেশি মৌচাষী মৌমাছিদের উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তায় এগিয়ে আসেন। মৌচাষীরা পুলিশের সঙ্গে মিলে মৌমাছির চাকগুলো পুনরায় বসানোর কাজ করছেন, যাতে মৌমাছিরা তাদের রানী মৌমাছি খুঁজে ফিরে যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুলিশের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে উল্টে পড়া লরির আশপাশে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছিকে উড়ে বেড়াতে দেখা গেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’