খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় নদীর পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের নুনছড়িতে মাইনি নদীতে নিখোঁজ হন তড়িৎ চাকমা (৫৫)। এর ২৪ ঘণ্টা পর শনিবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে  ৭টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি দীঘিনালা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জাকারিয়া জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তড়িৎ চাকমার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ মে) সকালে মাইনি নদীতে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন তড়িৎ চাকমা। এর পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।

অপরদিকে, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে খালে মাছ ধরতে গিয়ে পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন উক্রাচিং মারমা (১৯)। স্থানীয়দের সহায়তায় শুক্রবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ মিটার দূরে খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাব-অফিসার (ভারপ্রাপ্ত কমকতা) মো. রফিক আহম্মদ। পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

উক্রাচিং মারমার মৃতদেহ সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেতু বড়ুয়ার মাধ্যমে তার পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/রূপায়ন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ