বন্দরে মদনগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের অর্থ আত্মসাতসহ নানা  অভিযোগে উল্লেখিত ক্লাবের সাবেক সভাপতি সুমন (বিএ) কে সদস্য পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করেছে অন্তর্র্বতী কালীন আহবায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ।

গত শুক্রবার (৩০ মে)  সন্ধ্যা ৭টায় মদনগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সভাকক্ষে অন্তর্বতীকালীন আহবায়ক কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

অন্তর্র্বতী কালীন কমিটির আহবায়ক মোঃ  জসিম উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন  আহবায়ক কমিটি সদস্য আলহাজ্ব ফয়সাল মো.

সাগর, হাজী আমজাদ হোসেন, হাজী কফিল উদ্দিন মিয়া, জয়নাল আবেদিন মাতবর, সিরাজুল ইসলাম, আজিজুল হক আজি, মেহেদী হাসান পনির, মামসাদ হোসেন, মনোয়ার হোসেন মন্টু, হুমায়ূন কবির ও আবুল বাসার প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার, দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও অসৎ উদ্দেশ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃক অনুদান হিসেবে আর সি সি পায়লিং করার পর মদনগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নির্মানাধীন কমিউনিটি সেন্টারের নির্মান কাজ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একক ভাবে বাধা প্রদানকারী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে ক্লাবের সদস্য পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ছাড়াও সভায় আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার ও ক্লাবের মাঠের পশ্চিম অংশের জমি, ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষার জন্য সাবেক কমিটির পক্ষ থেকে জোড় দাবি জানানো হয়।

অন্তর্র্বতী কালীন কমিটির সভায়  সাবেক কার্যকরী কমিটির সদস্যদের মধ্যে আরো  উপস্থিত ছিলেন, মো. মোস্তফা খান মিঠু, ফয়েজ আহমেদ, ফারুক চৌধুরী, আলী নওশাদ আনোয়ার তুষার, আসাদ মিয়া, খান মো. জুলহাস, মোজাম্মেল হক মজনু, সেলিম রেজা, সেলিম পাটোয়ারী, কাওসার আহমেদ বাবু, আলী হোসেন মেম্বার, শহীদ মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মোশারফ হোসেন, আক্তার সরদার, কামরুল বাসার মাসুদ, মোহাম্মদ আলী সহ স্থানীয় জনসাধারণ।  
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ক কম ট কম ট র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ