শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, আমরা উচ্চশিক্ষার দিকে যাবো। একই সাথে সেকেন্ডারী এবং হায়ার সেকেন্ডারীতেও আমরা মনোনিবেশ করবো। কিন্তু একটার পর একটা ক্রাইসিসের কারণে যে সকল কাজ করতে চাচ্ছি সেগুলো থেকে অন্যদিকে ধাবিত হচ্ছি।

বোর্ড পরীক্ষায় এ প্লাস এবং গোল্ডেন জিপিএ সয়লাব হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন টেস্টে ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী ফেল করে। এমনভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ছাত্র যে মার্ক অর্জন করেছে তাই পাবে। রাষ্ট্র তাকে খয়রাতি কোনো মার্ক দিবে না। আমরা এই সস্তা জনপ্রিয়তা নেয়ার জন্য সেটা করবো না। 

শনিবার (৩১ মে) দুপুরে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এদিন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় অধ্যাপক আবরার আরও বলেন, সবাইকে নিয়েই আমরা এমন কিছু নীতি প্রণয়ন করব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এমন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন আকর্ষণীয় স্থান গড়ে তুলি, যাতে করে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ভাবতে পারে কখন তারা স্কুলে যাবে। তারা ছুটির দিনগুলোতে কেন ভাববে না, কেন আজকে স্কুল বন্ধ? আমরা আমাদের বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাব। আমরা স্কুলে খেলাধুলা করব।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে কীভাবে স্কুলগুলো নানান সমস্যার মধ্যে পড়েছে, সে অবস্থা থেকে যেন পরিত্রাণ ঘটে তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

আমরা আশা করি ভবিষ্যতে যারা রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবেন, তারা এই বিষয়গুলো যত্নের সাথে দেখবেন, যাতে স্কুলগুলো যেন শিক্ষার কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হয়, তার জন্য তারা যত্নশীল থাকবেন।

তিনি বলেন, তরুণ সমাজ আমাদের নাগরিক হিসেবে পুন:প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের যে নাগরিক অধিকার সেটা পুন:প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছে এই তরুণ সমাজ। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম জীবদ্দশায় প্রজা হিসেবেই মৃত্যু হবে।

কিন্তু আবার নতুন করে নাগরিক হিসেবে বাঁচার সুযোগ পেয়েছি সেটা তরুণ প্রজন্ম এবং শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনের কারণে হয়েছে। সে কারণে আমরা দায়বদ্ধ।

অধ্যাপক আবরার বলেন, শিক্ষক যে সম্মানের দাবীদার যে মর্যাদার দাবীদার সেটাকে আমরা নিশ্চিত করবো। অনেক সময় পেনশন পেতে ঘুরতে হয় সেগুলো আমরা দেখবো। আপনাদেও মর্যাদার বিষয়গুলো নিশ্চিত করবো। এগুলো আমাদের দায়িত্ব। আমরা সমস্ত স্কুলকে ভালো স্কুলে পরিণত করতে চাই। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র জন য আম দ র আবর র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরের ছয়টি আসনের ৪টিতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

গাজীপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-৬ আসনের প্রার্থীদের নাম পরে জানানো হবে। 

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি ঢাকা-২০ আসনে, অপেক্ষায় ৪ নেতা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিজ্ঞদের ওপর আস্থা রাখল বিএনপি

গাজীপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে এম. মঞ্জুরুল করিম রনি। গাজীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। গাজীপুর-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান এবং গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া, শরিক দলের জন্য কিছু আসন খালি রাখা হয়েছে।”

এর আগে, দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সেই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে আনুষ্ঠানিক তফসিল।

এদিকে প্রার্থী ঘোষণার খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তবে গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন তানিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ