নরসিংদীতে সন্ত্রাসী আলী হোসেন গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
Published: 31st, May 2025 GMT
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের হোতা মোহাম্মদ আলী হোসেন ওরফে আলী (২৮) কে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবপুর থানার এসআই রেজাউল ও এসআই সাদেকের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ধানুয়া উত্তরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে একটি পিস্তল ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আলী হোসেন শিবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। এ সব মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। মোহাম্মদ আলী হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, অস্ত্র ব্যবহার এবং ভাড়াটে খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার গ্রেপ্তারের খবরে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
আরো পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলন: যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গেন্দু গ্রেপ্তার
২২ দিনের শিশুকে হত্যা করে থানায় জিডি, গ্রেপ্তার ৪
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আফজাল হোসাইন জানান, আলী হোসেন দুর্ধর্ষ ও চিহ্নিত অপরাধী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নতুন মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো.
ঢাকা/হৃদয়/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচির ঘোষণা অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ (ক্যাডেট) উপপরিদর্শকেরা। এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়কের এক পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। অব্যাহতি পাওয়া ৪০তম ব্যাচের শিক্ষানবিশ (ক্যাডেট) উপপরিদর্শকদের পক্ষ থেকে এসআই রকিবুল হাসান এই ঘোষণা দেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। সেগুলোতে লেখা ছিল—‘এক বছরের পরিশ্রম, বৃথা কেন জানতে চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই, চাকরি পুনর্বহাল চাই’, ‘রাষ্ট্রের বোঝা নয়, সেবক হতে চাই’, ‘বেতন ছাড়া ৩৬৫ দিন, আমার চাকরি ফিরিয়ে দিন’, ‘লাল সবুজের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’।
অব্যাহতি পাওয়া এসআই রকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতির পর আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সবার কাছে আমাদের দাবি জানিয়েছি। সর্বশেষ গত ১৯ মে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। কিন্তু উনি ব্যস্ততার কারণে ওই দিন দেখা করতে পারেননি।’
আরও পড়ুনপুলিশ সদর দপ্তরের সামনে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের মানববন্ধন১৯ মে ২০২৫রকিবুল আরও বলেন, ‘পুলিশের মহাপরিদর্শক এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সঙ্গে দেখা করার কথা বললেও দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। তাই আমরা আবার এসেছি। এখন থেকে চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে আমাদের টানা কর্মসূচি চলবে।’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এসআইদের ভাষ্য, প্রশিক্ষণরত অবস্থায় অন্যায়ভাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে চার ধাপে ৩২১ জনকে চাকিরচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যূনতম সুযোগ দেওয়া হয়নি। অব্যাহতির পর ছয় মাস ধরে সরকারের কাছে দাবি জানালেও কেউ তাঁদের কথা শুনছেন না। বাধ্য হয়ে তাঁরা আইজিপির কাছে এসেছেন। কিন্তু তিনিও দেখা করছেন না। তাই এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানববন্ধন করবেন তাঁরা।
রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে চার ধাপে ৪০তম ব্যাচের ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নাশতা না খেয়ে হট্টগোল, প্রশিক্ষকের আদেশ না শোনা, অমনোযোগিতার মতো কারণ দেখিয়ে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতি পাওয়ার পর থেকে তাঁরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।