চ্যাটজিপিটি ছাড়া আরও যেসব এআই টুল আপনার জীবন সহজ করবে
Published: 1st, June 2025 GMT
১. প্রেজেন্টেশন তৈরি
প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে এখন আর পাওয়ার পয়েন্ট কিংবা অন্য কোনো সফটওয়্যারের পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। গামা এআই টুল (gamma.com.ai) ব্যবহার করে আপনি কাজটা সহজেই করতে পারবেন। কী নিয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে চান, ঠিকঠাক নির্দেশনা দিলেই এআই আপনাকে প্রেজেন্টেশন বানিয়ে দেবে। প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক জিনাত সানজিদা জানালেন, ‘নিজের আইডিয়া বা অভিজ্ঞতার সঙ্গে এআই যুক্ত করে প্রেজেন্টেশন তৈরি করা যেতেই পারে। তবে এআইকে সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। পুরোপুরি এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাবেন না।’ ক্যানভার (Canva.
লেখা ঠিকঠাক সাজিয়ে নেওয়া, তথ্য অনুসন্ধান কিংবা বিশ্লেষণের কাজে আপনি চ্যাটজিপিটি বা জেমিনির মতো এআই টুল ব্যবহার করতেই পারেন। ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক এইচ এম আতিফ ওয়াফিক বলেন, ‘ক্লাসওয়ার্ক ও অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির জন্য এখন অনেক উন্নত এআই টুল আছে। এসব টুল শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখায় সহায়তা করে। তবে কপি-পেস্ট কিংবা সরাসরি অনুলিপি করলে কিন্তু তা সহজেই ধরা পড়বে, ক্লাসে নম্বর কম পাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। বরং এসব টুলের সহায়তা নিয়ে নিজস্ব ভাষায় উপস্থাপন করা শিখতে হবে। চ্যাটজিপিটি বা জেমিনি কিন্তু অনেক সময় ভুল তথ্যও দেয়। তাই রেফারেন্স যাচাই করতে হবে।’ জিনাত সানজিদার মতো আতিফ ওয়াফিকেরও একই পরামর্শ—এআইয়ের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না হয়ে একে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। এক্সামএআই (examai.ai) টুলটিও শিক্ষার্থীদের সহায়ক হতে পারে। এটি একটি আধুনিক টেস্ট প্রিপারেশন টুল, যা নিজস্ব এআই দিয়ে কুইজ, ফ্ল্যাশকার্ড ও স্টাডি গাইড তৈরি করে। শিক্ষার্থীরা এতে নিজের মতো করে পড়ালেখার পরিকল্পনা (পার্সোনালাইজড স্টাডি প্ল্যান) সাজাতে পারেন, বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারেন, আছে আরও নানা সেবা। এআই-শিক্ষক হিসেবে ক্যাকটাস এআইও (caktus.ai) শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কাজের। এটি রচনা ও থিসিস লেখায় সাহায্য করে, লিখতে পারে কোড। তৈরি করে দেয় গবেষণাপত্রের সারাংশ ও রেফারেন্স। এমন এআই টুল পরীক্ষার সময় প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক।
৩. বানান ও ব্যাকরণ পরীক্ষাইংরেজি ভাষায় লেখা অ্যাসাইনমেন্টের বানান ও ব্যাকরণ ঠিক করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই হিমশিম খান। দ্বিধায় ভোগেন। এ ক্ষেত্রে সহায়তার জন্যও আছে একাধিক এআই টুল। যেমন গ্রামারলি। এই এআই টুলটি বানান থেকে শুরু করে ফুলস্টপ, কমা, বাক্য গঠন—সব যাচাই করে ও সেই অনুযায়ী পরামর্শ দেয়। একটি নিবন্ধ লিখে আপনি গ্রামারলির ‘হাতে’ (পড়ুন ওয়েবসাইটে) ছেড়ে দিলেই এটি সব ভুলত্রুটি শনাক্ত করে ফেলতে পারবে। এ ছাড়া আছে কুইলবট (quillbot.com)। এর মাধ্যমে একই লেখাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব। এটি বিকল্প বাক্য (রিরাইট) ও শব্দ (সিনোনিম) খুঁজতে সাহায্য করে। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক বুশরা হুমায়রা বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষার্থীই ইংরেজি লেখার ক্ষেত্রে দুর্বলতা আছে। বিশেষ করে ব্যাকরণ, বানান ও বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে। এআই টুল ব্যবহার করে এই ভুলত্রুটিগুলো সংশোধন করা যায়। তবে শুধু সংশোধন করলেই হবে না। শিখতে হবে—কোথায়, কেন আমার ভুল হচ্ছে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা একটা লেখা শেষ করার পর কারও সাজেশন নেওয়ার সুযোগ পায় না। কারণ, দেখানোর কেউ নেই। এ ক্ষেত্রে এআই হতে পারে ভরসা।’ বুশরা মনে করেন, এসব টুল শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। এসব টুল কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে নিজের লেখার মান বাড়ানোরও চর্চা করা উচিত।
৪. পিডিএফ ব্যবস্থাপনাবিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সময় বড় বড় পিডিএফ পড়তে হয়। অনেক সময় পুরোটা পড়া সম্ভব হয় না। চ্যাটপিডিএফ (chatpdf.com) ব্যবহার করে সহজেই কোনো গবেষণাপত্র বা বইয়ের সারাংশ জেনে নেওয়া যায়। এটি মূল বক্তব্য, গবেষণার ফলাফল ও উপসংহার আলাদা করে দেখায়। পিডিএফ ফাইল আপলোড করে দিলেই এআই আপনাকে সারাংশ তৈরি করে দেবে। পিডিএফের কোনো একটা অংশটা নির্দিষ্ট করে প্রশ্ন করলেও উত্তর মিলবে।
৫. ভিডিওর ট্রান্সক্রিপ্ট ও বিশ্লেষণঅনেক সময় ভিডিও লেকচার দেখে বা পডকাস্ট শুনে আমরা নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করি। এ ক্ষেত্রে ইংরেজি উচ্চারণ বুঝতে অনেকে সমস্যায় পড়েন। আবার ভিডিওর দৈর্ঘ্য বেশি লম্বা হলে পুরো ভিডিও দেখে নির্দিষ্ট তথ্যটা খুঁজে বের করাও কঠিন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে অটার ডট এআই। (Otter.ai)। এই ওয়েবসাইটে ভিডিওর কনটেন্ট লিখিত আকারে পাওয়া যায়, নোট নেওয়া সহজ হয়। ভিডিওর লিংক বা ফাইল দিয়ে দিলে এটি নিজ দায়িত্বে পুরো ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করে দেয়। একই ধরনের সেবা পেতে পারেন গুগলের নোটবুকএলএম (notebooklm.google) থেকেও। ধরা যাক, আপনি যে ভিডিওটির ট্রান্সক্রিপ্ট চাচ্ছেন, সেখানে একাধিক মানুষের কণ্ঠস্বর আছে। আপনি যদি আলাদা আলাদা কণ্ঠস্বর শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করে দিতে বলেন, নোটবুকএলএম আপনাকে সেটাও দেবে।
সিভি তৈরির জন্যও আছে একাধিক এআই টুলউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর স হ য য কর অন ক সময় এসব ট ল এআই ট ল র জন য ভ ড ওর প ড এফ আপন ক
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়ালের অপেক্ষায় থেকে পিএসজির পথে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার
আর্জেন্টাইন বিস্ময়বালক খ্যাতি পেয়েছেন ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনো। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে খেলেন তিনি। ১৬ বছর বয়সে রিভার প্লেটে অভিষেক হয় তার। সম্প্রতি ডাক পেয়েছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে।
ক্লাবে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ১৮ বছরে পা দেওয়ার পথে থাকা তরুণ পিএসজি’তে যোগ দিতে যাচ্ছেন। ফুটবল দলবদল বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো দাবি করেছেন, মাস্তানতুনোর রিলিজ ক্লজ ৪৫ মিলিয়ন ইউরো। পিএসজি ওই অর্থ দিয়ে রিভার প্লেট থেকে তাকে কিনতে যাচ্ছে।
দুই পক্ষের এজেন্টের মধ্যে আলোচনা অনেকটাই এগিয়ে গেছে। খেলোয়াড়ের দিক থেকেও সবুজ সংকেত মিলেছে। এখন দুই পক্ষ চুক্তি সম্পন্ন করার পরের ধাপে এগোবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রিভার প্লেট পিএসজির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পায়নি। আসন্ন আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রস্তাব পাঠিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারে লা প্যারিসিয়ানরা।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমের মতে, মাস্তানতুনোর প্রতিভা বিবেচনা করে রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে ভেড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করে। অনেকগুলো প্রস্তাব সামনে থাকলেও তিনি রিয়ালের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু লস ব্লাঙ্কোসরা এই তরুণের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে।
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, একই রকমের তরুণ ফুটবলার এরই মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদে আছেন। যেমন আর্দা গুলার গত প্রায় দুই মৌসুমে রিয়ালের বেঞ্চেই বেশি সময় কাটিয়েছেন। এবার তাকে মূল একাদশে নিয়মিত খেলাতে চায় ব্লাঙ্কোস কর্তৃপক্ষ। আবার কোমোয় ধারে খেলা আর্জেন্টাইন প্লে মেকার নিকো পাজকে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে রিয়াল।
একই পজিশনে একাধিক তরুণ ফুটবলার কিনলে দুই পক্ষেরই ক্ষতি মনে করছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে গুলার, পাজের পাশাপাশি মাস্তানতুনোর মতো তরুণ প্রতিভার বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মনে করছে ব্লাঙ্কোসরা।