লালমনিরহাটে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
Published: 1st, June 2025 GMT
লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের আলোরুপা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গতকাল বিকেলে পার্টির চেয়ারম্যানের রংপুরের বাসভবনে হামলা–ভাঙচুরের প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে অফিসে যাই। সেখানে রাত আটটা পর্যন্ত অবস্থান করে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাই। রাত পোনে ১১টার দিকে সংবাদ পাই, আমাদের পার্টি অফিসে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।’
লালমনিরহাট পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে গতকাল রাতেই অফিসে যাই। সবকিছু দেখেশুনে দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে ফোনে বিষয়টি জানাই।’ তিনি এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুনবরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর১১ ঘণ্টা আগেগতকাল রাতে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের বাইরে পুড়ে যাওয়া আসবাব। কার্যালয়ের ভেতরে আসবাব ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে আছে। কার্যালয়ের বাইরে উৎসুক জনতার ভিড়। এ ছাড়া কয়েকজন পুলিশ সদস্যও সেখানে দেখা যায়।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়ে শনিবার রাতেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এদিকে আজ রোববার সকাল আটটার দিকে রংপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিয়াজুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় লালমনিরহাটের সেনা ক্যাম্পের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট নগরীতে ব্যাটারি রিকশার দৌরাত্ম্য
সিলেট নগরী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করানোয় বাড়ছে যানজট। চালকরা বেপরোয়া, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সবকিছু দেখেও নীরব সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) ও সিটি করপোরেশন (সিসিক) কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করে এসএমপি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অবৈধ যান জব্দসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। এতে কিছুদিন কাজও হয়। নগরীর বাইরে চলাচল করতে থাকে এসব রিকশা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কিছুদিন বাদেই নগরীতে ফেরেন ব্যাটারি রিকশার চালকরা। পুলিশের সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলার মাধ্যমে অবাধে চলাচল করছেন তারা।
নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, লামাবাজার, শিবগঞ্জ, সুবিদবাজার, কুমারপাড়া, নাইওরপুল, টিলাগড়, চৌহাট্টা, রিকাবীবাজার, ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাটারি রিকশার দৌরাত্ম্য দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগায় চলাচল করছে।
সিলেট নগরীতে প্রায় ২৫ হাজার ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল করছে। অদক্ষ চালক, এলোমেলো ও উল্টোপথে চলাচল, যেখানে সেখানে রিকশা ঘোরানো– সব মিলিয়ে রাস্তায় প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। প্রায়ই ব্যাটারিচালিত রিকশার যাত্রীরা দুর্ঘটনায় হতাহত হচ্ছেন। গত ১৯ এপ্রিল চৌহাট্টায় ব্যাটারি রিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রাকের নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার শহিদ আহমদ চৌধুরী।
নগরীর শিবগঞ্জের বাসিন্দা বুরহান উদ্দিন জানান, শিবগঞ্জ পয়েন্টে তাঁর বাড়ি। এ কারণে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনা দেখতে হয়।
কিছুদিন আগেও বেশির ভাগ রিকশা নগরীর অলিগলিতে চলাচল করেছে। এখন মূল সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি নিয়ন্ত্রণহীন গতির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে অন্যান্য যানবাহনের চলাচল।
রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের নগর শাখার সভাপতি প্রণব জ্যোতি পাল সমকালকে বলেন, দীর্ঘদিন আমরা এসব রিকশা চলাচলের বিষয়ে একটি নীতিমালা ও রেজিস্ট্রেশন করার দাবি জানিয়ে আসছি। উচ্চ আদালতের রায়ও আছে। প্রধান সড়কে চলাচলের অনুমতি, লাইসেন্স ও ট্রাফিক পুলিশের ধরপাকড় বন্ধের দাবি জানান তিনি।
এসএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম জানান, অবৈধ ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ডাম্পিং করেও তাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘অনেকেই পেটের তাড়নায় এসব রিকশা চালান। একেবারে বন্ধ করতে হলে, তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের চিন্তা আগে করতে হবে।’