লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের আলোরুপা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গতকাল বিকেলে পার্টির চেয়ারম্যানের রংপুরের বাসভবনে হামলা–ভাঙচুরের প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে অফিসে যাই। সেখানে রাত আটটা পর্যন্ত অবস্থান করে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাই। রাত পোনে ১১টার দিকে সংবাদ পাই, আমাদের পার্টি অফিসে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।’

লালমনিরহাট পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে গতকাল রাতেই অফিসে যাই। সবকিছু দেখেশুনে দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে ফোনে বিষয়টি জানাই।’ তিনি এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুনবরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর১১ ঘণ্টা আগে

গতকাল রাতে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের বাইরে পুড়ে যাওয়া আসবাব। কার্যালয়ের ভেতরে আসবাব ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে আছে। কার্যালয়ের বাইরে উৎসুক জনতার ভিড়। এ ছাড়া কয়েকজন পুলিশ সদস্যও সেখানে দেখা যায়।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়ে শনিবার রাতেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

এদিকে আজ রোববার সকাল আটটার দিকে রংপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিয়াজুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় লালমনিরহাটের সেনা ক্যাম্পের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ