Risingbd:
2025-08-01@04:45:10 GMT

মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী ওপল

Published: 1st, June 2025 GMT

মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী ওপল

‘মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫’ বিজয়ী হ‌য়ে‌ছেন থাইল্যান্ডের ওপল সুচাতা চুয়াংসরি। শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভারতের হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হয় ৭২ তম আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে। থ্যাইল্যান্ডের প্রথম নারী হিসেবে ইতিহাস গড়লেন ওপল। তাকে মুকুট পরিয়ে দেন গত বছরের বিজয়ী ক্রিস্টিনা পিসকোভা। মিস ওয়ার্ল্ডের ওয়েব সাইটে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি মিলার গুরুতর অভিযোগের ফলে মিস ওয়ার্ল্ড বিতর্কের মুখে পড়েছে। আলাচিত এ আসরে প্রথম রানার-আপ নির্বাচিত হয়েছেন ইথিওপিয়ার হ্যাসেট ডেরেজে আদমাসু, দ্বিতীয় রানার-আপ পোল্যান্ডের মাজা ক্লাজদা, তৃতীয় রানার-আপ মার্টিনিকের অরেলি জোয়াকিম 

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওপল সুচাতা চুয়াংসরি বলেন, “বিজয়ের এই মুহূর্তটি ব্যক্তিগত নয়। এটি প্রতিটি তরুণীর স্বপ্ন। এই উত্তরাধিকারের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।” 

আরো পড়ুন:

ভারতে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ

অবশেষে পাকিস্তানের হামলায় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা স্বীকার করলো ভারত

১০৮ জন প্রতিনিধি নিয়ে শুরু হয় মিস ওয়ার্ল্ডের এবারের আসর। এতে ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন যথাক্রমে নন্দিনী গুপ্তা, আকলিমা আতিকা কনিকা। নন্দিনী সেরা দশে জায়গা করে নেন।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ