গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনি ট্রাককে চলন্ত একটি মিনি ট্রাক পিছনে থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনা স্থলেই মারা যান চলন্ত ট্রাকের চালক। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় চালকের সহকারীকে উদ্ধার করে (হেলপার) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। 

শনিবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কামারদহ ইউনিয়নের বকচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের পাশে মিনি ট্রাকটি দাঁড়ানো ছিল। ট্রাকের পাশেই গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার দাঁড়িয়ে ছিলেন। হটাৎ পিছনে থেকে একটি মিনি ট্রাক দ্রুত গতিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনা স্থলেই ট্রাকের ড্রাইভার মারা যায়। এসময় স্থানীয়রা এসে ট্রাকের হেলপারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠিয়ে দেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। 

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, “দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক মারা গেছে। আহত হেলপারকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাক দুটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে, তাদের নাম জানা যায়নি। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/মাসুম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনার ফুটপাত পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে

খুলনা নগরের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত এখন পথচারীদের নয়, হকারদের দখলে। ডাকবাংলা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত নগরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্রজুড়ে ফুটপাতের ওপর চলছে অস্থায়ী দোকানপাট, পণ্যের পসরা আর ক্রেতাদের ভিড়। ফলে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা হারাচ্ছেন ক্রেতা, হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত।

ডাকবাংলা এলাকা খুলনা নগরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। এখানে ডাকবাংলা সুপারমার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটসহ বড় শপিং কমপ্লেক্স আছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম বাজার এটি। কিন্তু এখন এর পুরো এলাকার ফুটপাত দখল হয়ে গেছে ভাসমান ব্যবসায়ীদের হাতে।

হকারদের ভিড়ে দোকান দেখা যায় না

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকবাংলা মোড় থেকে ক্লে রোড পর্যন্ত ফুটপাতে মালামাল সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। স্থায়ী দোকানদাররাও নিজেদের দোকানের সামনের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। ভ্যানে করে জামাকাপড়, ফল, গৃহস্থালির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের পর এখন রাস্তার অর্ধেকজুড়ে। পুরোনো যশোর রোড, সদর থানা মোড়, কেডি ঘোষ রোড থেকে হেলাতলা পর্যন্ত একই চিত্র। খালিশপুর চিত্রালি বাজার ও দৌলতপুর বাজারেও ফুটপাতের ওপর খাট বসিয়ে চালা তুলে ব্যবসা চলছে। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।

খালিশপুর চিত্রালি বাজারের দোকান ব্যবস্থাপক মো. আসাদ বলেন, ‘হকারদের কারণে বাইরে থেকে আমাদের দোকান দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা জমজমাট, কিন্তু আমাদের বিক্রি কমে গেছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ঢেকে গেছে অস্থায়ী দোকানে।’

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬৪১ কিলোমিটার। ফুটপাতের সঠিক হিসাব না থাকলেও অন্তত ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত হকারদের দখলে। চলতি বছরে ১২ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের দখল হয়ে যায়।

কেসিসির সম্পত্তিবিষয়ক কর্মকর্তা গাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতা ও প্রশাসন সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে এটি বন্ধ হবে না। অনেকে নিজের দোকানের সামনের ফুটপাতও ভাড়া দেন হকারদের। সহযোগিতা না পেলে একা আমাদের কিছু করার নেই।’

পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ