একেতো গরম তারপর মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হানা দিচ্ছে। কিন্তু আনন্দ আর ত্যাগের মহিমা নিয়ে দুয়ারে হাজির হয়েছে কুরবানির ঈদ। পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ এনে দেয় এই উৎসব। নানা রকম ব্যস্ততার ভিড়ে চুলগুলোর দিকে নজর দিতে ভুলবেন না যেন।
চুলে নতুন কাট দিতে পারেন। শোভন’স মেকওভারের স্বত্বাধিকারী ও কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘গরমে চুলে বব, মিডি বব, ব্ল্যান্ট, ডায়ানা কিংবা পিক্সি কাট দেওয়া যেতে পারে।’’
গরমে স্বস্তির খোঁজে সাইড বান, মেসি বান, পনিটেল, বাবলি পনিটেল, সিঙ্গেল ব্রেইড অথবা খোঁপা করলে স্বস্তি পেতে পারেন।
আরো পড়ুন:
মাসিকে কম রক্তপাত হওয়া কি খারাপ
ছুটির দিনে ত্বকের যত্নে ঘরেই করুন ‘ফ্রুট ফেসিয়াল’
চলতি ধারায় যে স্টাইল জনপ্রিয়: এই সময় চুল ব্লো-ড্রাই করে রাখার চল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনার চুলেও যদি এই কাট থাকে পুরো চুল ফুলিয়ে নিয়ে সেট করে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। লেপটে বা সোজাসাপটাভাবে চুল আঁচড়ে বেঁধে রাখার রেওয়াজটাই কিন্তু জনপ্রিয়।
এক পাশে সিঁথি করে ঢেউখেলানো চুলসজ্জা: ঈদের দিন লম্বা চুলে এক পাশে সিঁথি করেও চুল সাজিয়ে নিলে ভালো লাগবে। এজন্য প্রথমে চুল ভালো করে আঁচ়ড়ে এক পাশে সিঁথি করে নিন।তারপর অন্য পাশের সব চুল কাঁধের একপাশে এনে ববি পিনের সাহায্যে আটকে দিতে হবে। এ বার এক পাশে চুলে আসা সমস্ত চুলে অল্প অল্প করে নিয়ে স্ট্রেটনার অথবা কার্লারের সাহায্যে ঢেউ খেলান। ব্যাস, আপনার চুল কিন্তু রেডি।
অর্ধেক খোলা, অর্ধেক বাঁধা: ঈদের দিন যে পোশাক পরবেন তার সঙ্গেও মিলিয়ে নিতে পারেন চুলের সাজ। শাড়ি, চুড়িদার, লেহঙ্গার সঙ্গে অর্ধেক খোলা, অর্ধেক বাঁধা চুলের সাজ ভালো লাগবে। চুল ভালো করে আঁচড়ে নিয়ে মাঝখানে সিঁথি করে নিন। তারপর চুলের উপরের কিছু অংশ নিয়ে পিছন দিক থেকে পনিটেলের মতো করে রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে ফেলুন। এবার ওই বাঁধা অংশের চুলগুলো রাবার ব্যান্ডের ভেতর দিয়ে উল্টো করে পাক খাইয়ে নিন। কপালের উপরের চুলগুলো চিরুনির সাহায্যে একটু ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে নিতে পারেন।
যারা স্লিক পনিটেল করতে চান তারা চুল পেছনে বাঁধার সময় আলগা করে বাঁধুন। এবং মাথার সামনের বেবিহেয়ারগুলো ঢাকতে সেরাম ব্যবহার করতে পারেন।
শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে দুই বেণি, এক বেণি, ফ্রেঞ্চ বেণি, খেজুর বেণিও করে নিতে পারেন। ফেলে আসা দিনের আবেদন কিন্তু ফুরাইনি এখনও।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যত ন চ ল র যত ন এক প শ অর ধ ক
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের যেসব আসনে নির্বাচন করার কথা রয়েছে, সেখানেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা
কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব- সমর্থকদের বিক্ষোভ
বিএনপির ঘোষিত আসনভিত্তিক তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা-১১ (বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা) আসনের তাদের প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
রংপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ এনামুল হক ভরসা। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। এই আসনে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের।
কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে মো. মমিনুল হককে। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাদের দলের আসনভিত্তিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি। যখন চূড়ান্ত করা হবে, আপনাদের জানানো হবে।”
এর আগে রবিবার (৩ নভেম্বর) সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। ঢাকা থেকেই আমি দাঁড়াব। আর কে কোন আসনে দাঁড়াবেন, আমরা প্রার্থী তালিকা এ মাসেই দিতে পারি।”
অবশ্য বিএনপি ও এনসিপি চূড়ান্ত মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত যে কোনো আসনে যেকোনো সময় পরিবর্তন আসতে পারে বলে তারা ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
ঢাকা/রায়হান/রাসেল