Risingbd:
2025-11-03@10:40:42 GMT

ঈদে চুল সাজাবেন কীভাবে

Published: 1st, June 2025 GMT

ঈদে চুল সাজাবেন কীভাবে

একেতো গরম তারপর মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হানা দিচ্ছে। কিন্তু আনন্দ আর ত্যাগের মহিমা নিয়ে দুয়ারে হাজির হয়েছে কুরবানির ঈদ। পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ এনে দেয় এই উৎসব। নানা রকম ব্যস্ততার ভিড়ে চুলগুলোর দিকে নজর দিতে ভুলবেন না যেন। 

চুলে নতুন কাট দিতে পারেন। শোভন’স মেকওভারের স্বত্বাধিকারী ও কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা গণমাধ্যমকে বলেন,  ‘‘গরমে চুলে বব, মিডি বব, ব্ল্যান্ট, ডায়ানা কিংবা পিক্সি কাট দেওয়া যেতে পারে।’’ 

গরমে স্বস্তির খোঁজে সাইড বান, মেসি বান, পনিটেল, বাবলি পনিটেল, সিঙ্গেল ব্রেইড অথবা খোঁপা করলে স্বস্তি পেতে পারেন।

আরো পড়ুন:

মাসিকে কম রক্তপাত হওয়া কি খারাপ

ছুটির দিনে ত্বকের যত্নে ঘরেই করুন ‘ফ্রুট ফেসিয়াল’

চলতি ধারায় যে স্টাইল জনপ্রিয়: এই সময় চুল ব্লো-ড্রাই করে রাখার চল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনার চুলেও যদি এই কাট থাকে পুরো  চুল ফুলিয়ে নিয়ে সেট করে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। লেপটে বা সোজাসাপটাভাবে চুল আঁচড়ে বেঁধে রাখার রেওয়াজটাই কিন্তু জনপ্রিয়।

এক পাশে সিঁথি করে ঢেউখেলানো চুলসজ্জা:  ঈদের দিন লম্বা চুলে এক পাশে সিঁথি করেও চুল সাজিয়ে নিলে ভালো লাগবে।  এজন্য প্রথমে চুল ভালো করে আঁচ়ড়ে এক পাশে সিঁথি করে নিন।তারপর অন্য পাশের সব চুল কাঁধের একপাশে এনে ববি পিনের সাহায্যে আটকে দিতে হবে। এ বার এক পাশে চুলে আসা সমস্ত চুলে অল্প অল্প করে নিয়ে স্ট্রেটনার অথবা কার্লারের সাহায্যে ঢেউ খেলান। ব্যাস, আপনার চুল কিন্তু রেডি।

অর্ধেক খোলা, অর্ধেক বাঁধা: ঈদের দিন যে পোশাক পরবেন তার সঙ্গেও মিলিয়ে নিতে পারেন চুলের সাজ। শাড়ি, চুড়িদার, লেহঙ্গার সঙ্গে অর্ধেক খোলা, অর্ধেক বাঁধা চুলের সাজ ভালো লাগবে। চুল ভালো করে আঁচড়ে নিয়ে মাঝখানে সিঁথি করে নিন। তারপর চুলের উপরের কিছু অংশ নিয়ে পিছন দিক থেকে পনিটেলের মতো করে রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে ফেলুন। এবার ওই বাঁধা অংশের চুলগুলো রাবার ব্যান্ডের ভেতর দিয়ে উল্টো করে পাক খাইয়ে নিন। কপালের উপরের চুলগুলো চিরুনির সাহায্যে একটু ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে নিতে পারেন। 

যারা স্লিক পনিটেল করতে চান তারা চুল পেছনে বাঁধার সময় আলগা করে বাঁধুন। এবং মাথার সামনের বেবিহেয়ারগুলো ঢাকতে সেরাম ব্যবহার করতে পারেন।

শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে দুই বেণি, এক বেণি, ফ্রেঞ্চ বেণি, খেজুর বেণিও করে নিতে পারেন। ফেলে আসা দিনের আবেদন কিন্তু ফুরাইনি এখনও। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যত ন চ ল র যত ন এক প শ অর ধ ক

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ

বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।

দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।

পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।

বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’

সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসী

সম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।

এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।

সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।

রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ