Risingbd:
2025-09-18@11:22:46 GMT

ঈদে চুল সাজাবেন কীভাবে

Published: 1st, June 2025 GMT

ঈদে চুল সাজাবেন কীভাবে

একেতো গরম তারপর মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হানা দিচ্ছে। কিন্তু আনন্দ আর ত্যাগের মহিমা নিয়ে দুয়ারে হাজির হয়েছে কুরবানির ঈদ। পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ এনে দেয় এই উৎসব। নানা রকম ব্যস্ততার ভিড়ে চুলগুলোর দিকে নজর দিতে ভুলবেন না যেন। 

চুলে নতুন কাট দিতে পারেন। শোভন’স মেকওভারের স্বত্বাধিকারী ও কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা গণমাধ্যমকে বলেন,  ‘‘গরমে চুলে বব, মিডি বব, ব্ল্যান্ট, ডায়ানা কিংবা পিক্সি কাট দেওয়া যেতে পারে।’’ 

গরমে স্বস্তির খোঁজে সাইড বান, মেসি বান, পনিটেল, বাবলি পনিটেল, সিঙ্গেল ব্রেইড অথবা খোঁপা করলে স্বস্তি পেতে পারেন।

আরো পড়ুন:

মাসিকে কম রক্তপাত হওয়া কি খারাপ

ছুটির দিনে ত্বকের যত্নে ঘরেই করুন ‘ফ্রুট ফেসিয়াল’

চলতি ধারায় যে স্টাইল জনপ্রিয়: এই সময় চুল ব্লো-ড্রাই করে রাখার চল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনার চুলেও যদি এই কাট থাকে পুরো  চুল ফুলিয়ে নিয়ে সেট করে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। লেপটে বা সোজাসাপটাভাবে চুল আঁচড়ে বেঁধে রাখার রেওয়াজটাই কিন্তু জনপ্রিয়।

এক পাশে সিঁথি করে ঢেউখেলানো চুলসজ্জা:  ঈদের দিন লম্বা চুলে এক পাশে সিঁথি করেও চুল সাজিয়ে নিলে ভালো লাগবে।  এজন্য প্রথমে চুল ভালো করে আঁচ়ড়ে এক পাশে সিঁথি করে নিন।তারপর অন্য পাশের সব চুল কাঁধের একপাশে এনে ববি পিনের সাহায্যে আটকে দিতে হবে। এ বার এক পাশে চুলে আসা সমস্ত চুলে অল্প অল্প করে নিয়ে স্ট্রেটনার অথবা কার্লারের সাহায্যে ঢেউ খেলান। ব্যাস, আপনার চুল কিন্তু রেডি।

অর্ধেক খোলা, অর্ধেক বাঁধা: ঈদের দিন যে পোশাক পরবেন তার সঙ্গেও মিলিয়ে নিতে পারেন চুলের সাজ। শাড়ি, চুড়িদার, লেহঙ্গার সঙ্গে অর্ধেক খোলা, অর্ধেক বাঁধা চুলের সাজ ভালো লাগবে। চুল ভালো করে আঁচড়ে নিয়ে মাঝখানে সিঁথি করে নিন। তারপর চুলের উপরের কিছু অংশ নিয়ে পিছন দিক থেকে পনিটেলের মতো করে রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে ফেলুন। এবার ওই বাঁধা অংশের চুলগুলো রাবার ব্যান্ডের ভেতর দিয়ে উল্টো করে পাক খাইয়ে নিন। কপালের উপরের চুলগুলো চিরুনির সাহায্যে একটু ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে নিতে পারেন। 

যারা স্লিক পনিটেল করতে চান তারা চুল পেছনে বাঁধার সময় আলগা করে বাঁধুন। এবং মাথার সামনের বেবিহেয়ারগুলো ঢাকতে সেরাম ব্যবহার করতে পারেন।

শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে দুই বেণি, এক বেণি, ফ্রেঞ্চ বেণি, খেজুর বেণিও করে নিতে পারেন। ফেলে আসা দিনের আবেদন কিন্তু ফুরাইনি এখনও। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যত ন চ ল র যত ন এক প শ অর ধ ক

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ