চাঁদাবাজদের ধরতে র্যাবের বিশেষ কৌশল
Published: 1st, June 2025 GMT
চাঁদাবাজদের ধরতে বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ।
তিনি বলেছেন, ‘‘চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে বছরব্যাপী অভিযোগ তো আছেই। এর পাশাপাশি আসন্ন ঈদের আগে তাদের ধরতে বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে। তবে এখনই সে কৌশল আমরা জানাচ্ছি না।’’
রবিবার (১ জুন) বেলা ১১টায় রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট সিটিহাটে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটে বড় বড় কোরবানির পশুর হাট আছে। তাই এসব এলাকায় র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কে যেন কোনো রকম চাঁদাবাজি না হয় তার জন্য র্যাবের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গভীর রাতে র্যাবের তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে।’’
র্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘‘কোন ধরনের চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, পশুর হাটে পশু তোলা নিয়ে জোর-জুলুম যেন না করা হয়, তার জন্য বড় বড় হাটগুলোতে র্যাবের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। এখান থেকে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা গরমে অসুস্থ বোধ করলে সহজেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। জটিল পরিস্থিতি তৈরি হলে র্যাবের অ্যাম্বুলেন্সে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হবে।’’
তিনি জানান, জাল টাকা শনাক্তকরণের জন্য হাটে মেশিন রাখা হয়েছে। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে। ঈদ পরবর্তী সময় পর্যন্ত এই ব্যবস্থা অব্যহত থাকবে। ঈদের আগে হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাসহ সকলেই নির্বিঘ্নে পশু কেনাবেচা করতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের বৈরি আবহাওয়ার পর রবিবার থেকে জমে উঠেছে রাজশাহীর সিটিহাট। এখন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে এখানে।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?
মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।
কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।
জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।
১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।
ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া।
অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ।
ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”
ঢাকা/শান্ত