চাঁদাবাজদের ধরতে বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ। 

তিনি বলেছেন, ‘‘চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে বছরব্যাপী অভিযোগ তো আছেই। এর পাশাপাশি আসন্ন ঈদের আগে তাদের ধরতে বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে। তবে এখনই সে কৌশল আমরা জানাচ্ছি না।’’

রবিবার (১ জুন) বেলা ১১টায় রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট সিটিহাটে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘‘রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটে বড় বড় কোরবানির পশুর হাট আছে। তাই এসব এলাকায় র‌্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কে যেন কোনো রকম চাঁদাবাজি না হয় তার জন্য র‌্যাবের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গভীর রাতে র‌্যাবের তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে।’’

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘‘কোন ধরনের চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, পশুর হাটে পশু তোলা নিয়ে জোর-জুলুম যেন না করা হয়, তার জন্য বড় বড় হাটগুলোতে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। এখান থেকে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা গরমে অসুস্থ বোধ করলে সহজেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। জটিল পরিস্থিতি তৈরি হলে র‌্যাবের অ্যাম্বুলেন্সে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হবে।’’

তিনি জানান, জাল টাকা শনাক্তকরণের জন্য হাটে মেশিন রাখা হয়েছে। র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে। ঈদ পরবর্তী সময় পর্যন্ত এই ব্যবস্থা অব্যহত থাকবে। ঈদের আগে হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাসহ সকলেই নির্বিঘ্নে পশু কেনাবেচা করতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন।

উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের বৈরি আবহাওয়ার পর রবিবার থেকে জমে উঠেছে রাজশাহীর সিটিহাট। এখন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে এখানে।

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ