দেশের বাজারে নিজেদের প্রিমিয়াম গেমিং সিরিজ আরওজির নতুন মডেলের গেমিং ল্যাপটপ এনেছে আসুস বাংলাদেশ। ‘আরওজি স্ট্রিক্স স্কার ১৮’ মডেলের ল্যাপটপটিতে ইন্টেল কোর আলট্রা প্রসেসরসহ এনভিডিয়ার সর্বাধুনিক জিফোর্স আরটিএক্স ৫০৮০ এবং ৫০৯০ জিপিইউ থাকায় একসঙ্গে একাধিক কাজ দ্রুত করার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যে গেম খেলা যায়। শুধু তা–ই নয়, ভালো মানের আধেয় (কনটেন্ট) তৈরিসহ পেশাগত বিভিন্ন কাজও দ্রুত করা সম্ভব। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আসুস বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ভিউ সুবিধার ল্যাপটপটিতে রয়েছে মিনি এলইডি প্রযুক্তির পর্দা, যা সর্বোচ্চ ১২০০ নিট পর্যন্ত উজ্জ্বলতা প্রদর্শন করতে পারে। ফলে উচ্চ রেজল্যুশনের যেকোনো ছবি বা ভিডিও ভালোভাবে দেখা যায়। উন্নত কুলিং সিস্টেম থাকায় একটানা দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলেও ল্যাপটপটি গরম হয় না।
৬৪ গিগাবাইট ডিডিআর৫ র্যামযুক্ত ল্যাপটপটির ধারণক্ষমতা ১ টেরাবাইট। ডুয়েল থান্ডারবোল্ট ৫, এইচডিএমআই ২.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল য পটপট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’