মেঘনায় ট্রলারডুবি: দুজনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ আরো ২
Published: 1st, June 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরো এক জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
রবিবার (১ জুন) লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গতকাল এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনো ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ভাসানচর থানার সাব পোস্টমাস্টার ও ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৫৩) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫)।
আরো পড়ুন:
তিন জেলায় পানিতে ডুবে ৭ শিশুর মৃত্যু
মেঘনায় ট্রলারডুবি: একজনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ আরো ৫
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- জেলার সুধারাম মডেল থানার পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম (২৮) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের তারেকের ছেলে তামিম (৩)।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শনিবার (৩১ মে) দুপুরে ৪ পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার লোকসহ ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ভাসানচর থেকে হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে।
যাত্রাপথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পরই করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরে মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর ৩৫ জনকে জীবিত ও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো দুই জন। কোস্ট গার্ড তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
ঢাকা/সুজন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আ.লীগ নেতার মদের ব্যবসা বন্ধের দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রলয় চাকীর মদের ব্যবসা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা টেকনিক্যাল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, সালাউদ্দিন চাদু, পাভেল হাসান ডন, মাসুদ রানা বিপ্লব, মীর সানজিদ প্রান্ত, বরকতুল্লাহ, মিরাজ আহমেদ, রতন মেম্বার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রলয় চাকী বৈষম্যবিরোধী ছাত্রহত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রহত্যার মামলা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পরও তিনি মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কারণে স্থানীয় যুবকদের অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তাঁর দোকানের আশপাশে ৩-৪টা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশে দিনরাত মাদকসেবীরা আড্ডা দেয়। অনতিবিলম্বে এ ব্যবসা বন্ধ করে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রলয় চাকী বলেন, অর্ধশত বছর ধরে আমাদের এ ব্যবসা। লাইসেন্সধারীরা এখান থেকে মদ কেনেন। এখন ব্যবসা দূরের কথা, পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।