টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার সময় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে চাপা পড়ে আসাদ মিয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত আসাদ মিয়া ওই গ্রামের নবাব আলীর ছেলে এবং পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা ছিলেন।

রোববার বেলা দেড়টার দিকে মির্জাপুর পৌরসভার পাহাড়পুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাহাড়পুর গ্রামের নুরুল হক ভূইয়ার স্ত্রী মিনু বেগম তার বাড়ির বড় ইউক্যালিপটাসসহ কয়েকটি গাছ দেওহাটা বাজারের তিন কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। শ্রমিকরা গত এক সপ্তাহ ধরে গাছগুলো কাটার কাজ করছিলেন। রোববার দুপুরে প্রায় ১০০ ফুট দীর্ঘ একটি গাছ কাটার সময় সেটি বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে যায়। এতে সঙ্গে সঙ্গে দুটি খুঁটি ভেঙে পড়ে।

ঠিক সেই সময় রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আসাদ মিয়া। খুঁটির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত আসাদ মিয়া সাহাপাড়া বাবুবাজারে সবজি বিক্রি করে আসছিলেন।

খবর পেয়ে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় সাবেক দুই কাউন্সিলর আজম খান ও শামীম খান বলেন, রাস্তার পাশে গাছ কাটার সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। বিশাল আকৃতির গাছ এভাবে কাটার আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।

এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মির্জাপুর জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো.

মোকলেছুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত আস দ ম য় ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ