নির্বাচিত সরকার না থাকায় আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (২ জুন) বিকেল ৪টায় বিটিভিতে বাজেট বক্তব্য প্রচার করা হবে। তবে এটি লাইভ হবে না। অর্থ উপদেষ্টা রামপুরার বিটিভি কার্যালয়ে গিয়ে বাজেট বক্তব্যের কিছু অংশ পড়ে রেকর্ড করে আসবেন, যা ৪টায় প্রচার করা হবে।

সোমবার সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের মিটিং হবে। সেখানে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হবে। তারপরই অর্থ উপদেষ্টা বিটিভি কার্যালয়ে বাজেট প্রস্তাব রেকর্ড করতে যাবেন। সব মিলিয়ে ৪০-৪৫ মিনিটের বক্তব্য রেকর্ড করা হবে, যা বিকেল ৪টা থেকে বিটিভি প্রচার করবে। বাজেট বক্তব্যের বাকি অংশ পঠিত বলে গণ্য হবে।

আরো পড়ুন:

বাজেট পেশ ২ জুন, প্রচার হবে বিটিভিসহ সব টেলিভিশনে

বাজেটে ‘অত্যাচারের কর’ চালু করুন: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তব্য শোনা যাবে। এজন্য ইতোমধ্যেই ওয়েবসাইটিকে বিটিভি’র সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন এতে টেস্ট স্ট্রিমিং (ওয়েব) হিসেবে বিটিভি'র প্রোগ্রামগুলো দেখা যাচ্ছে।

নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় বাজেট পেশের দিনই জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনের পর বিকেলে সংসদ সদস্যদের সামনে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রস্তাব লাইভ তুলে ধরেন। সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা যার পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান তুলে ধরতে পারেন।

প্রতিবছর সাধারণত জুন মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়। এবছর ৫ জুন প্রথম বৃহস্পতিবার হলেও ওইদিন থেকে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায়, ২ জুন বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। প্রথা মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

নির্বাচিত সরকারের সময় বাজেট ঘোষণার পর- জুন মাস জুড়ে সংসদ সদস্যরা বাজেটের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো সংসদে তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তার প্রেক্ষিতে ২৯ জুন অর্থবিল সংশোধন করে পাস করে সংসদ, পরদিন বাজেট পাস করা হয়।

সব সময়ই বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই প্রস্তাবিত অর্থবিল কার্যকর করে থাকে সরকার। এবারও বাজেট প্রস্তাবের দিন থেকেই রাজস্বখাতে প্রস্তাবিত কর, ভ্যাট ও শুল্কহারগুলো কার্যকর করা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরাবরের মতো এবারো অর্থ বিভাগ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, পরিকল্পনা কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে বাজেট বক্তব্য আপলোড করা হবে।

জানা গেছে, এবছর সংসদ কার্যকর না থাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মতামত জানানোর সুযোগ থাকছে। অনলাইনে প্রাপ্ত মতামত ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে, অধ্যাদেশ আকারে বাজেট পাস করার সময় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার বিষয়টি ভাববে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এবারো ২৯ জুন রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সংশোধন শেষে অর্থবিল ও পরদিন প্রস্তাবিত বাজেট অধ্যাদেশ আকারে জারি করে ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ব ত ব জ ট ক র যকর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ