দর্শকের চাহিদার কথা চিন্তা করে ‘সিজন ৫’ নিয়ে এসেছি: অমি
Published: 1st, June 2025 GMT
২০২২ সালের শেষ দিকে দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট ৪’ সিজনের শেষ পর্ব প্রচারিত হয়। দুই বছর পর মাসখানের আগে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন-৫ নির্মাণের ঘোষণা দেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। আজ গুলশানের একটি ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অমি জানান, গত চার সিজনের চেয়ে এবার বড় পরিসরে তিনি ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৫ নিয়ে হাজির হচ্ছেন।
নতুন সিজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মারজুক রাসেল, চাষী আলম, জিয়াউল হক পলাশ, আবদুল্লাহ রানা, মনিরা মিঠু, শিমুল শর্মা, সাইদুর রহমান পাভেল, ফারিয়া শাহরিন, লালিমাসহ অনেকে। পরিচালক অমিসহ ছিলেন মুশফিকুর রহমান (বঙ্গের চিফ কনটেন্ট অফিসার ও প্রযোজক) প্রমুখ।
কাজল আরেফিন অমি বলেন, “সত্যি কথা বলতে আমি যখন ব্যাচেলর পয়েন্ট সিরিজ শুরু করি তখন নিজেও জানতাম না এই সিরিজের ভবিষ্যৎ কি। যতটুকু বাজেট ছিল তা নিয়েই সততার সঙ্গে শুরু করেছি। কখনো বাজেটের কথা চিন্তা করিনি। এই করতে করতে আমরা ৭ বছরে ৫টি সিজনে এসে পৌঁছেছি। সব সময় দর্শকের কথা চিন্তা করে কাজ করেছি। দেশ-বিদেশে যেখানে যাই, দর্শকরা সবার আগে জিজ্ঞেস করে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নতুন সিজন কবে আসবে? দর্শকদের জন্যই কাজ করি, তাদের চাওয়াতে ২৬ মাস পর ‘সিজন ৫’ নিয়ে আসছি।”
কাজল আরেফিন অমি বলেন, ‘এর আগের সিজনগুলো টেলিভিশন ও ইউটিউবে স্ট্যান্ডার্ডে বানিয়েছিলাম। কিন্তু গত দুই বছরে আমি বেশ কিছু ওয়েব কনটেন্ট বানিয়েছি, যা দর্শকরা পছন্দ করেছেন। এসব কাজে আমার একরকম সিনেম্যাটিক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি চাই নতুন সিজেনে আমার নির্মাণে সেই সিনেম্যাটিক অভিজ্ঞতার ছাপ থাকুক।’
ঈদের দিন একসঙ্গে নতুন ৮ এপিসোড দেখা যাবে বঙ্গ অ্যাপে। ৪০ টাকায় সাবস্ক্রাইব করে দেখা যাবে সিরিজটি। পরের মাসে অর্থাৎ জুলাইয়ে প্রথম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গ অ্যাপে আরও ৮ এপিসোড রিলিজ হবে। একইদিন রাত ৯ টায় বুম ফিল্মসের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম এপিসোড রিলিজ পাবে এবং সাড়ে ৯ টায় চ্যানেল আইয়ের পর্দায় প্রথম এপিসোড দেখা যাবে। পরদিন (শুক্রবার) রাত ৯ টায় বুম ফিল্মসের ইউটিউবে দ্বিতীয় এপিসোড রিলিজ হবে এবং সাড়ে ৯ টায় চ্যানেল আইতে দেখা যাবে। এভাবে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রাতে ইউটিউব ও টেলিভিশনে দেখা যাবে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-সিজন ৫।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স জন ৫
এছাড়াও পড়ুন:
কালীগঞ্জ কাঁপাচ্ছে বিশাল আকৃতির নিগ্রো!
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে একটি বিশাল আকৃতির ষাঁড়- নাম তার ‘নিগ্রো’।
উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের জুয়েল আকন্দ (৩২) শখের বশে লালন-পালন করা এই বিরল দৃষ্টিনন্দন ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১১৫০ কেজি।
জুয়েলের নিজ বাড়িতে ষাঁড়টি বিক্রির অপেক্ষায় থাকলেও এর চাহিদা ও কৌতূহল এখন ছড়িয়ে পড়েছে দূর-দূরান্তে।
আরো পড়ুন:
প্রস্তুত হাট, আসছে গরু-অপেক্ষা ক্রেতার
খুলনার জোড়াগেট হাটে হাসিল কমেছে ১ শতাংশ
জুয়েল আকন্দ জানান, প্রায় দেড় বছর আগে পাশের গ্রামের নাওয়ানের মোড় থেকে মাত্র দুই দাঁতের অবস্থায় কালো রঙের ষাঁড়টি কেনেন। এরপর থেকেই প্রাকৃতিক খাদ্য ও যত্নে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘নিগ্রো’কে। কোনো স্টেরয়েড বা কৃত্রিম উপাদান ছাড়াই ঘাস, ভুসি, ছোলা, গাজর, কলাই, ও দানাদার খাবার খেয়ে বড় হয়েছে ষাঁড়টি। দিনে দুইবার গোসল আর পর্যাপ্ত চলাফেরার সুযোগে নিগ্রো এখন একেবারে স্বাস্থ্যবান এবং ঝলমলে চেহারার একটি ষাঁড়।
জুয়েল বলেন, “নিগ্রো নামটি আমি দেইনি, কালো জিভ আর কুচকুচে কালো গায়ের রঙ দেখে লোকজনই এ নাম দিয়েছিল। সেই নামেই পরিচিতি পেয়েছে।”
এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন নিগ্রোকে একনজর দেখতে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ করছেন ফেসবুক লাইভ। এমন উৎসাহ অনেকটাই মেলা মেলার পরিবেশ তৈরি করেছে জুয়েলের বাড়িতে।
মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ লাখ টাকা, তবে স্থানীয় পশু ব্যবসায়ীদের মতে নিগ্রোর প্রকৃত মূল্য আরও বেশি হতে পারে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকে দাম বলছেন, কেউ আবার বুকিং দিতে চাইছেন কিন্তু এখনো কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় জুয়েল ষাঁড়টি ছাড়েননি।
“শখের বসে লালন করেছি, তাই হেলায় ছাড়তে চাই না। তবে কেউ সঠিক মূল্য দিলে নিগ্রোর রশি তার হাতেই তুলে দেব।”-বলেন জুয়েল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এটি শুধু একটি ষাঁড় নয়, এটি খৈকড়া গ্রামের গর্ব। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালিত এই ষাঁড় যেন সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল প্রতীক।
জুয়েলের প্রতিবেশিরা জানান, এটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ ঘিরে প্রতিবছর যেমন লক্ষ লক্ষ পশু প্রস্তুত হয়, তেমনি বিরল আকৃতির পশুরাও হয়ে ওঠে আলোচনার বিষয়বস্তু। এবারের ঈদে কালীগঞ্জে নিগ্রো যেন সবার আগ্রহ ও ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। এটি বিক্রি হবে কি না, হবে তো কত দামে-তা সময়ই বলবে। তবে নিঃসন্দেহে, কালীগঞ্জের ঈদ উদযাপন নিগ্রোকে ঘিরেই এবার এক নতুন রঙে রাঙা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/এস