মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
Published: 1st, June 2025 GMT
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। রোববার বিকেলে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কে সদর উপজেলার আবাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন- সদরের হাজীপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে রবিন হোসেন (১৯), সদরের গজদূর্বা গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে জিসান হোসেন (২২) ও সদরের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বকুল মোল্লার ছেলে সাদিম মোল্লা (২৪)।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মো.
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লিটন দেবনাথ জানান, বিকেলে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের ওসি আলমগীর কবীর জানান, নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মাগুরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তারা সদর থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’