চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মেরে বহিষ্কৃত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আকাশ চৌধুরী দাবি করেছেন, তিনি ‘আত্মসমর্পণ’ করেছেন।

পুলিশের তথ্যমতে, আজ রোববার বিকেলে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনুমানিক বেলা পৌনে তিনটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ফেসবুকে বেলা ৩টা ১৩ মিনিটে দেওয়া পোস্টের একাংশে আকাশ চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমি আমার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনদের সিদ্ধান্তক্রমে আজকেই চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দিচ্ছি।’

এদিকে এ স্ট্যাটাসের পর প্রশ্ন উঠেছে, গ্রেপ্তারের পর কীভাবে ওই ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়া হলো। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেলা পৌনে তিনটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর আইডি থেকে হয়তো কেউ পোস্ট করেছেন। গ্রেপ্তারের পর এ ধরনের সুযোগ নেই।’

ফেসবুকে আকাশ চৌধুরীর নামে থাকা ফেসবুক আইডিতে ঢুকে দেখা যায়, আইডিটি থেকে প্রথম পোস্ট করা হয় গত ১৯ মে। নিজের একটি ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, আগের আইডি ডিজেবল, এটা আমার একমাত্র আইডি। এরপর সেখানে নিজের ছবি ও বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি দেন তিনি। গত বুধবার বিকেলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’–এর কর্মসূচির পোস্ট করেছেন তিনি। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মারার ভিডিও ভাইরাল হয়।

চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মারেন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আকাশ চৌধুরী। পরে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর কর ছ ন র কর ম ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। 

মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। 

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।

ঢাকা/আজিজ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার