ওভারটেক করতে গিয়ে বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু নিহত
Published: 1st, June 2025 GMT
প্রতীকী ছবি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে কারখানার ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু, উত্তেজিত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিল পুলিশ
গাজীপুরের শ্রীপুরে জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেডের কারখানার আটতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তিনি ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে ওই কারখানা ঘেরাও করে ভাঙচুরের চেষ্টা করেন শ্রমিকেরা। তাঁদের অভিযোগ, কারখানা থেকে ছুটি চাওয়ায় জাকির হোসেন নামের এক শ্রমিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে তিনি কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জাকির হোসেন (২৫) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর নতুন বাজার এলাকার জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেডের কারখানায় চাকরি করতেন।
ওই ঘটনার পর জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকেরা আজ সকাল ৯টার দিকে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা কারখানা ঘেরাও করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। তবে এর আগেই গতকাল রাত থেকে সেখানে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। উত্তেজিত শ্রমিকেরা প্রতিরোধের মুখে পুলিশের একটি এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) গাড়িতে ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আল আমিন নামের এক শ্রমিক বলেন, জাকির হোসেন ছু্টি চাইতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছুটি না দিয়ে দুর্ব্যবহার করে। এ কারণে জাকির হোসেন হতাশ হয়েছিলেন। তবে কোন কর্মকর্তার কাছে ছুটি চাইতে গিয়েছিলেন, তা তিনি জানাতে পারেননি।
কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, পারিবারিক কলহের কারণে হতাশ ছিলেন জাকির। এ অবস্থায় ছাদে হাঁটাহাঁটির সময় অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। কারখানার এজিএম জুবায়ের এম বাশার আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ছুটি চাওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি জানতে পেরেছেন, ওই শ্রমিক হতাশাগ্রস্ত হয়ে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মল আবদুল বারিক বলেন, উত্তেজিত শ্রমিকেরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। তাঁরা পুলিশের এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। সেখানে শিল্প পুলিশ, থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।