ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে রাজধানীর শ্যামপুর থানা–পুলিশ। রাজধানীর দোালাইরপাড়ের ডেলটা হাসপাতালের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ-উর-রহমান মাসুম (৪৮), কদমতলী থানা যুবলীগের সদস্য আহসান কবির আদর (৩১) ও ইদ্রিস আলী ঈশান (২২)।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শনিবার বেলা ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতা–কর্মী দোলাইরপাড় ডেলটা হাসপাতালের সামনে সরকারবিরোধী মিছিল করার জন্য সমবেত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার হওয়া সবার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গত ১২ মে এক প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা–কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার, মিছিল, সভা–সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ