সোনারগাঁয়ে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সমিতির কর্মকর্তা ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাহাপুর এলাকার ফারুক আহমেদসহ ২০ জন সদস্য মিলে ‘স্বপ্ননীড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে একটি সমবায় গঠন করেন। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর নিবন্ধিত এ সমিতির ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পান প্রিতম চন্দ্র সরকার (২৪)।

অভিযোগকারীদের দাবি, প্রাথমিকভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে সমিতি পরিচালনা হলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্যাশিয়ার প্রিতমের আচরণ ও হিসাব-নিকাশ নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।

ফারুক আহমেদ জানান, সন্দেহ হওয়ায় প্রিতমকে আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তালবাহানা করে আসছিলেন। পরে জানতে পারেন, প্রিতম বিদেশযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিষয়টি জানানো হলে প্রিতমের বাবা গনেশ সরকারসহ উভয়ে গত ২৩ মে বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা হাসপাতালের সামনে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে টাকা ও নথিপত্র ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন।

কিন্তু ৩০ মে সকালে জানা যায়, প্রিতম পলাতক এবং তাঁর মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ রয়েছে। এরপর প্রিতমের বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনিও অসংলগ্ন কথা বলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফারুক আহমেদের দাবি, প্রিতম ও তার পিতা গনেশ সরকারের যোগসাজশে সমিতির গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও একটি বাটন মোবাইল নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

প্রিতম সরকার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলো তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ফ র ক আহম দ প র তম স ন রগ সমব য় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ