সোনারগাঁয়ে সমবায় সমিতির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, কর্মকর্তা পলাতক
Published: 1st, June 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সমিতির কর্মকর্তা ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাহাপুর এলাকার ফারুক আহমেদসহ ২০ জন সদস্য মিলে ‘স্বপ্ননীড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে একটি সমবায় গঠন করেন। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর নিবন্ধিত এ সমিতির ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পান প্রিতম চন্দ্র সরকার (২৪)।
অভিযোগকারীদের দাবি, প্রাথমিকভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে সমিতি পরিচালনা হলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্যাশিয়ার প্রিতমের আচরণ ও হিসাব-নিকাশ নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।
ফারুক আহমেদ জানান, সন্দেহ হওয়ায় প্রিতমকে আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তালবাহানা করে আসছিলেন। পরে জানতে পারেন, প্রিতম বিদেশযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিষয়টি জানানো হলে প্রিতমের বাবা গনেশ সরকারসহ উভয়ে গত ২৩ মে বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা হাসপাতালের সামনে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে টাকা ও নথিপত্র ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু ৩০ মে সকালে জানা যায়, প্রিতম পলাতক এবং তাঁর মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ রয়েছে। এরপর প্রিতমের বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনিও অসংলগ্ন কথা বলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফারুক আহমেদের দাবি, প্রিতম ও তার পিতা গনেশ সরকারের যোগসাজশে সমিতির গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও একটি বাটন মোবাইল নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।
প্রিতম সরকার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলো তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ফ র ক আহম দ প র তম স ন রগ সমব য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
তানোরে চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব টাকা চুরির অভিযোগে আরজেদ আলী ওরফে কুরহান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার জোড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুরহানের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই কুরহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। টাকা উদ্ধারের পর বুধবার বিকেলে কুরহানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাজশাহী নগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার বাসিন্দা মাবিয়া খাতুন জমি বিক্রি করতে গত সোমবার তানোর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সঙ্গে ছিল জমি বিক্রির ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অফিসে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মাবিয়া খাতুন তার টাকার ব্যাগটি চেয়ারের পাশে রাখেন। এ সুযোগে কৌশলে ব্যাগটি নিয়ে সটকে পড়ে কুরহান।
মোবাইল ফোনে কথোপকথন শেষে ব্যাগটি না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন মাবিয়া খাতুন। এতে পুরো অফিসজুড়ে হইচই পড়ে যায়। পরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘটনার দিনই মাবিয়া খাতুন তানোর থানায় অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে চোর শনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতেই কুরহানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশকে কুরহান জানিয়েছেন, ব্যাগটি চুরি করে কাউকে কিছু না বলে তিনি বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে তা পুঁতে রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টাকা খরচের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে, এত দ্রুত ধরা পড়বেন, সেটা ভাবেননি।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, কুরহান চুরির কথা স্বীকার করলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পেছনের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ব্যাগভর্তি টাকা। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই টাকা মালিক মাবিয়া খাতুনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/কেয়া/রফিক