খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করার পাশাপাশি চাইলে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সরাসরি বার্তা পাঠানো যায়। ডিরেক্ট মেসেজের (ডিএম) মাধ্যমে পাঠানো বার্তা এনক্রিপশন বা বিশেষ কোড যুক্ত করে অন্যদের কাছে পাঠানোর জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ তা জানতে পারেন না। ফলে নিরাপদে বার্তা আদান-প্রদান করা যায়। এবার বার্তা আদান–প্রদানের নতুন সুবিধা ‘এক্সচ্যাট’ চালু করতে যাচ্ছে খুদে ব্লগ লেখার প্ল্যাটফর্মটি।

বার্তা আদান–প্রদানের নতুন সুবিধাটিকে এক্সের পুরোনো ডিরেক্ট মেসেজিং ব্যবস্থার উন্নত সংস্করণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রযুক্তি বিশ্লেষক নিমা ওজি জানিয়েছেন, এক্সচ্যাট সুবিধাটি পুরোপুরি প্রস্তুত এবং তা দ্রুতই বৃহত্তর পরিসরে চালু হতে পারে। এক্সচ্যাটে ব্যবহারকারীরা বার্তা আদান–প্রদানের পাশাপাশি গ্রুপ চ্যাট, ফাইল শেয়ারিং, বার্তা আনরিড হিসেবে চিহ্নিত করার সুবিধা এবং ‘ভ্যানিশিং মোড’ ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানা গেছে। নতুন এই মেসেজিং সেবায় বার্তাগুলো চার সংখ্যার একটি পাসকোডের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে।

এক্সের তথ্যমতে, বর্তমানে ‘এক্সচ্যাট’ পরীক্ষামূলকভাবে বেটা সংস্করণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আর তাই নির্বাচিত বেশ কিছু ব্যবহারকারী নতুন সুবিধাটি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন। এক্সচ্যাট চালুর মাধ্যমে বার্তা বিনিময়ের অভিজ্ঞতা আরও নিরাপদ ও আধুনিক হতে যাচ্ছে।

সম্প্রতি এক্স কর্তৃপক্ষ এক বার্তায় জানিয়েছে, আপাতত বর্তমান এনক্রিপ্টেড ডিএম সুবিধার উন্নয়নকাজ স্থগিত করা হয়েছে। আর তাই প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, এক্সচ্যাট চালু হওয়ার পর পুরোনো ডিএম সিস্টেম ব্যবহারের আর প্রয়োজন হবে না।

সূত্র: টেক ক্র্যান্চ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নত ন স ব ধ ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর ওপর হামলা: নির্দোষ দাবি করে অভিযুক্তের ফেসবুক লাইভ

ফরিদপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী বৈশাখী ইসলাম বর্ষাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সাগর কাজী নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

সোমবার সকালে অজ্ঞাত স্থান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে সাগর কাজী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে দায় চাপান বিএনপির নগরকান্দা উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক বদিউজ্জামান তারা মোল্যার ওপর। লাইভের পরপরই তিনি ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন।

ফেসবুক লাইভে সাগর কাজী বলেন, ‘এখানে রাজনীতি করতেছেন বদিউজ্জামান তারা মোল্যা। তিনি রাজনৈতিক ইস্যু করে ফেলছেন। তিনি নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন, নিজে সালিশ করেছেন, তাকে অমান্য করে বৈশাখী।’

তারা মোল্যাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘সে আমাকে এখন চিনে না, আমাকে জড়িয়ে দিচ্ছে। আরে মিয়া আমারে চিনেন না, আপনার সাথে ব্যানার করলাম, বিএনপির যখন ব্যানার করলাম, আপনি তখন চিনেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এখন আমি বিপদে পড়েছি, আমাকে চিনেন না। আমার ওপরে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন কেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা মোল্যা সেদিন বলেছেন, বিএনপির কোনো লোক ছিল না ওখানে, কিন্তু সব তারা মোল্যার লোকজন ছিল। তারা মোল্যা শেল্টার দিয়ে সবকিছু করাইছে।’

এ সময় সাগর কাজী মারধরের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি আর আব্বু নাকি পিটাইছি, একটা মানুষকে যদি ২০ থেকে ২৫ মিনিট পেটানো হয় তাহলে তার এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকা উচিত। আমাদের পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড নষ্ট করার জন্য মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। প্রতিদিন আমার বাড়িতে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাব আসতেছে।’

সাগর আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে নিজে ছিলেন তারা মোল্যা। নিজেই সালিশ করেছেন। এখন বলেন তিনি ছিলেন না। আমি তো তার নির্দেশ অমান্য করিনি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সে এখন বলছে, বিএনপির কেউ ছিল না। অথচ তার লোকজনই তো ছিল।’

ফেসবুক লাইভের বিষয়ে জানতে চাইলে বদিউজ্জামান তারা মোল্যা বলেন, ‘ওতো (সাগর কাজী) আমাকে আর বৈশাখী নিয়ে যেসব কথা বলছে, তাহলে বোঝেন কেমন লোক। কারণ, সাগর যুবলীগ নেতা ফরহাদের লোক। ওরা এখনও চাচ্ছে যে বিএনপিকে কীভাবে হেনস্তা করা যায়। আমার দল করলে অবশ্যই চিনতাম। ওদের আমার দলে মিশিয়ে তো আমি দল থেকে বহিষ্কার হতে চাই না।’

গত ৩০ মে বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দার ভবুকদিয়া গ্রামে বৈশাখীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে সাগর কাজী, তার বাবা সেকেন কাজী, স্থানীয় বিএনপি নেতার সমর্থকদের নাম উঠে আসে।

বৈশাখীর দাবি, তার ছোট বোনকে স্থানীয় শরিফ ব্যাপারী উত্ত্যক্ত করেছিলেন। পুলিশ তাকে আটক করলে উত্তেজিত হয়ে সাগর ও তার লোকজন হামলা চালায়। পরে রাত ১০টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছে। বৈশাখী দুটি মামলার বাদী, আর একটি করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে শরিফ বেপারীসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর নগরকান্দা থানার ওসি মো. সফর আলীকে তাৎক্ষণিকভাবে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। 

মারধরের শিকার বৈশাখী বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি। তার মাথা ও গলায় আঘাতের কারণে তিনি চিকিৎসাধীন। 

তিনি বলেন, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান তারা মোল্যার নেতৃত্বে আমার ওপর সাগর কাজী ও তার বাবা সেকেন্দার কাজীসহ বিএনপির নেতারা হামলা চালায়। 

বৈশাখী বলেন, এ হামলায় যারা অংশ নিয়েছেন তারা এক সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল, এখন বিএনপি করে। আমার ওপর হওয়া হামলায় যারা জড়িত তারা সন্ত্রাসী, এদের কোনো দল নেই। আমি দলমতের ঊর্ধ্বে গিয়ে এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ