রাজশাহী-চট্টগ্রাম দিয়ে শুরু হবে বুলবুলের বিসিবি ভিশন
Published: 2nd, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে সভাপতি হিসেবে পেয়ে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু কাঠামোগত পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম হলো ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুলবুল বলেন, ‘জাতীয় দলের পারফরম্যান্স উন্নয়ন অবশ্যই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তবে ডেভেলপমেন্টের দিক থেকে এক নম্বর অগ্রাধিকার হলো ক্রিকেটকে ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দেওয়া।’
এই লক্ষ্য সামনে রেখে শিগগিরই পাইলট প্রকল্প হিসেবে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে দুটি সেন্টার চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। বুলবুল জানান, ‘আমরা আপাতত বড় বিভাগগুলোতে ক্রিকেট নিয়ে যাচ্ছি। যেখানে থাকবে একেকটি মিনি বিসিবি। অর্থাৎ স্থানীয় সংগঠক, কোচ, ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক কাঠামো মিলিয়ে বোর্ডের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিট থাকবে।’
২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি, ‘আমরা ২৫ বছর পিছিয়ে আছি। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সময়ই বলেছিলাম, আমরা ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রীকরণ করব। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে এবার সিরিয়াস। উপদেষ্টার সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছি।’
বাংলাদেশে ক্রিকেট অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। দেশের বিভিন্ন স্টেডিয়াম আছে, কিন্তু সেগুলোর সঠিক ব্যবহার নেই। এ বিষয়ে বুলবুল বলেন, ‘আমাদের যে মাঠ বা ভেন্যু রয়েছে, সেগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও খেলা আয়োজন করার মত উপযোগী করে তোলাই এখন মূল লক্ষ্য। যেসব মাঠ অব্যবহৃত পড়ে আছে, সেগুলো নিয়মিত ব্যবহারে আনা গেলে অনেক ঘাটতি পূরণ সম্ভব।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ঘোষণায় বিসিবির নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সাবেক এই অধিনায়ক বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে আইসিসি ও এসিসিতে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?