ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। রবিবার মধ্যরাতে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা ফেরার পথে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে বাপ্পীর ব্যক্তিগত গাড়িটিকে পেছন থেকে একটা ট্রাক সজোরে আঘাত করে। চলন্ত অবস্থায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান এই অভিনেতা। তবে গাড়িটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে বাপ্পী গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি নারায়াণগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। তার গাড়ি যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে উঠে স্বাভাবিকভাবে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা মারে। উল্টে যেতে গিয়েও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি এখনও ট্রমার মধ্যে আছি।’

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সড়ক বিভাজনের সঙ্গে হেলান দিয়ে বসে আছেন বাপ্পী চৌধুরী। পাশেই পড়ে আছে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে ট্রাকটিকে আটক করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ