‘হীরামান্ডি’খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী শারমীন সেগাল মা হয়েছেন। গত ২৮ মে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন এই অভিনেত্রী। শারমীন ও আমান মেহতা দম্পতির এটি প্রথম সন্তান। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে। 

এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বরেণ্য পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির ভাগ্নি অভিনেত্রী শারমীন সেগাল। নতুন অতিথি আসার পর বানসালি ও মেহতা পরিবারের সদস্যরা আনন্দে ভাসছেন। 

২০২৩ সালের জুলাই মাসে বাগদান সম্পন্ন করেন শারমীন সেগাল ও আমান মেহতা। একই বছর ইতালিতে এ দম্পতি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। ভারতীয় শিল্পপতি সামির মেহতার পুত্র আমান। তিনিও একজন ব্যবসায়ী।

আরো পড়ুন:

রিনার সঙ্গে খুব ভালো একটি জীবন কাটিয়েছি, প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে আমির

‘স্যার আপনার সঙ্গে সময় কাটাতে চান’

সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন শারমীন সেগাল। পরবর্তীতে নাম লেখান অভিনয়ে। কিন্তু তাতে বাদ সাধে তার শরীরের ওজন। পরে ৯৪ কেজি থেকে ওজন কমিয়ে ফিট হন শারমীন সেগাল। এরপর ‘মালাল’ সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পান; অভিষেক চলচ্চিত্রে নজর কাড়েন তিনি।

অবিভক্ত ভারতের লাহোরের এক গণিকালয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘হীরামান্ডি’। যে গণিকালয়ের গল্পের চরিত্রদের হাত ধরে উঠে এসেছে— প্রেম, ক্ষমতা, বিশ্বাসঘাতকতা, উত্তরাধিকার এবং রাজনীতি।

ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি। এতে আলমজেব চরিত্রে অভিনয় করেন শারমীন সেগাল। গত বছরের ১ মে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় তারকাবহুল এই সিরিজ। মুক্তির পর ওয়েব সিরিজটি যেমন আলোচিত হয়, তেমনি প্রশংসা কুড়ান শারমীনে সেগাল।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ