কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন
Published: 2nd, June 2025 GMT
দীর্ঘ দুই যুগ পর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, গোপালগঞ্জ এর হলরুমে পৃথক দুটি কমিটি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান।
ঘোষিত পাঁচ সদস্যের উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক আহ্বায়ক এস.
অন্যদিকে পৌর বিএনপির চার সদস্যের কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে ইউসুফ আলী দাড়িয়াকে এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ওলিউর রহমান হাওলাদার। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আছেন আলম শিকদার ও মোহাম্মদ মামুন হাওলাদার মিঠু।
উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার বলেন, “দীর্ঘদিন পর কোটালীপাড়ায় আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হলো। জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে অচিরেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।”
এ সম্মেলন ও নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে কোটালীপাড়া বিএনপিতে নতুন করে রাজনৈতিক গতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশা করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ ব এনপ ব এনপ র সদস য উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’