হাত দিয়ে গোলের ব্যাখ্যায় নেইমার যা বললেন
Published: 2nd, June 2025 GMT
শৈশবে ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে দেখা হয়েছে নেইমারের। ক্যারিয়ারে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির প্রভাবের কথাও বলেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে ম্যারাডোনার মতো ‘হ্যান্ড অব গড’–এর জন্ম দেওয়া বুমেরাং হয়েছে নেইমারের জন্য। দেখতে হয়েছে লাল কার্ড। মাঠের বাইরেও চলছে সমালোচনা। নেইমার অবশ্য এ জন্য ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি হাত দিয়ে গোল করার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুনইন্টারের জন্য বিমানবন্দরে মাত্র একজন সমর্থক, বললেন, ‘আমিই একমাত্র আহম্মক’৪৫ মিনিট আগেব্রাজিলিয়ান লিগে আজ বোতাফোগো-সান্তোস ম্যাচটি গোলশূন্যভাবে ৭৫ মিনিট পেরিয়ে গিয়েছিল। এমন সময় সান্তোসের একটি আক্রমণ বোতাফোগো গোলকিপার রুখে দিলেও বলটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। বক্সের ভেতর ছুটে আসা নেইমার ফিরতি বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাওয়ার সময় বোতাফোগোর এক ডিফেন্ডার পা উঁচিয়ে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই ডান হাত দিয়ে বল জালে পাঠান নেইমার। তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেন রেফারি।
প্রায় দেড় মাস পর খেলায় ফিরে নেইমার লাল কার্ড দেখে আগেভাগে মাঠ ছাড়ার ১০ মিনিট পরই জয়সূচক গোলটি পায় বোতাফোগো। ১-০ গোলের হারে লিগে ২০ দলের মধ্যে ১৮তম স্থানে নেমে গেল সান্তোস।
আরও পড়ুনইয়ামাল নন, কে হলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা তরুণ খেলোয়াড়৪ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে করা পোস্টে হাত দিয়ে গোল করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন নেইমার, ‘গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠলে কখনো কখনো আমরা ভুল করি। সতীর্থ ও ভক্তদের কাছে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। ক্ষমা করে দিন। আমি লাল কার্ড না দেখলে নিশ্চিতভাবেই ৩ পয়েন্ট পেতাম। এই ৩ পয়েন্ট আমার হিসাবে জমা রাখা হোক।’
মাঠে ফিরেই লাল কার্ড দেখতে হলো নেইমারকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’