শৈশবে ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে দেখা হয়েছে নেইমারের। ক্যারিয়ারে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির প্রভাবের কথাও বলেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে ম্যারাডোনার মতো ‘হ্যান্ড অব গড’–এর জন্ম দেওয়া বুমেরাং হয়েছে নেইমারের জন্য। দেখতে হয়েছে লাল কার্ড। মাঠের বাইরেও চলছে সমালোচনা। নেইমার অবশ্য এ জন্য ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি হাত দিয়ে গোল করার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

আরও পড়ুনইন্টারের জন্য বিমানবন্দরে মাত্র একজন সমর্থক, বললেন, ‘আমিই একমাত্র আহম্মক’৪৫ মিনিট আগে

ব্রাজিলিয়ান লিগে আজ বোতাফোগো-সান্তোস ম্যাচটি গোলশূন্যভাবে ৭৫ মিনিট পেরিয়ে গিয়েছিল। এমন সময় সান্তোসের একটি আক্রমণ বোতাফোগো গোলকিপার রুখে দিলেও বলটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। বক্সের ভেতর ছুটে আসা নেইমার ফিরতি বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাওয়ার সময় বোতাফোগোর এক ডিফেন্ডার পা উঁচিয়ে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই ডান হাত দিয়ে বল জালে পাঠান নেইমার। তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেন রেফারি।

প্রায় দেড় মাস পর খেলায় ফিরে নেইমার লাল কার্ড দেখে আগেভাগে মাঠ ছাড়ার ১০ মিনিট পরই জয়সূচক গোলটি পায় বোতাফোগো। ১-০ গোলের হারে লিগে ২০ দলের মধ্যে ১৮তম স্থানে নেমে গেল সান্তোস।

আরও পড়ুনইয়ামাল নন, কে হলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা তরুণ খেলোয়াড়৪ ঘণ্টা আগে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে করা পোস্টে হাত দিয়ে গোল করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন নেইমার, ‘গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠলে কখনো কখনো আমরা ভুল করি। সতীর্থ ও ভক্তদের কাছে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। ক্ষমা করে দিন। আমি লাল কার্ড না দেখলে নিশ্চিতভাবেই ৩ পয়েন্ট পেতাম। এই ৩ পয়েন্ট আমার হিসাবে জমা রাখা হোক।’

মাঠে ফিরেই লাল কার্ড দেখতে হলো নেইমারকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ, কুমিল্লায় যানজটে ভোগান্তি

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে। তবে এর আগেই ঘরমুখী মানুষের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে; যানবাহনের চাপ বেড়েছে সড়কে। এর প্রভাব পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। আজ বুধবার সকাল আটটায় চট্টগ্রামগামী লেনে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ধীরে ধীরে যানজট কমছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজা দিয়ে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার মানুষ ঢাকায় যাতায়াত করেন। একসঙ্গে অসংখ্য যানবাহন পারাপারের কারণে টোল প্লাজায় অনেক সময় যানবাহন পারাপারে ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যায়। সেখানেও যানজট তৈরি হয়।

গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। আজ বুধবার ভোর চারটায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতু এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারে যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল আটটায় যানজট কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটারে পৌঁছায়। এর পর থেকে ধীরে ধীরে যানজট কমতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কের ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারে যানজট ছিল।

সকাল আটটায় যানজট কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটারে পৌঁছায়। এর পর থেকে ধীরে ধীরে যানজট কমতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কের ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারে যানজট ছিল।

সকাল ৯টায় মহাসড়কের কানড়া এলাকায় কথা হয় কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দুলালপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কমল চন্দ্র সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভোর পাঁচটায় ঢাকার কাজলা থেকে সায়মুন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিই। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ মেঘনা সেতু এলাকায় পৌঁছার পর থেকেই যানজটে আটকা পড়ি। এতে এক ঘণ্টার পথ চার ঘণ্টায় অতিক্রম করতে হয়েছে।’

দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই বাজারের মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলার সিঙ্গুলা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন সকাল সোয়া ৯টায় মহাসড়কের দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে ছিলেন। তিনি বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ি আড়ত থেকে মাছ কিনে, ভোর পাঁচটায় সেন্ট মার্টিন পরিবহনের বাসে উঠেন। মেঘনা সেতু এলাকায় পৌঁছার পর যানজটে আটকা পড়েন। এতে সাড়ে তিন ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় নষ্ট হয়েছে। মাছ নিয়ে যথাসময়ে পৌঁছাতে না পারায় লাভের বিপরীতে লোকসানও হতে পারে।

ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসা মতলব দক্ষিণ উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী সৃজন চন্দ্র মজুমদার একই অভিজ্ঞতার কথা জানান।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি, দাউদকান্দি মডেল থানা–পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ