ঢাকার ধামরাইয়ে বসতঘর থেকে মা ও দুই শিশু ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। মৃতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আলামত হিসেবে ঘরে থাকা ভাত ও ডিম ভাজি জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত এলাকার মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নারগিস আক্তার (৪২), তার দুই ছেলে মো.
আরো পড়ুন:
উখিয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের দেয়াল ধসে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ
মৃতের মেয়ে নাসরিন বেগম বলেন, ‘‘বাড়িতে এসে দেখি দরজা সব লাগানো। এটা বাইরে থেকে খোলা যায়। ঘরে ফ্যান চলছিল। আমি ভেবেছি, মা শুয়ে আছে। আমি দরজা উঁচু করে বাইরে থেকে খুলেছি। ভেতরে ঢুকে মায়ের পায়ের কাছে বসেছি। তার পায়ে হাত দিয়েছি, দেখি পা একদম শক্ত। সাধারণত তার পায়ে পানি থাকত, পা নরম থাকত। যখন শক্ত দেখি, তখন গায়ের ওপর থাকা কাঁথা টান দিয়ে সরাই। দেখি বড় ভাই ও ছোট ভাই পাশে শোয়া। তখন মাকে জড়ায় ধরছি। দেখি মা মারা গেছে।’’
কীভাবে বা কেন মারা গেছে- এসব প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘আমি শ্বশুর বাড়ি থাকতাম। কিছুই জানি না।’’ বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
মৃত নারগিসের শ্বশুর জালাল উদ্দিন বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে কারো ঝগড়া ছিল না। বিবাদ ছিল না। আমার ছেলে মারা যাওয়ার পর দুই নাতিকে নিয়ে তার মা বাড়িতে থাকত।’’
পূর্বে থেকে চলমান জমিজমা নিয়ে বিরোধে তাদের হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন মৃত নারগিসের মা ও বোন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মৃতের মা রাশেদা বেগম বলেন, ‘‘আমার মেয়ে তিনটি বাড়ি বদলাইছে। এক বছর ধরে জামাই মারা গেছে। খালি বলত, ওরা ভিটা ছাড়া করবো। আমি বলতাম, ধৈর্য ধরতে।’’
মৃতের ছোট বোন কাজলী আক্তার বলেন, ‘‘আমার বইনেরে শ্বশুর-শাশুড়ি মারছে। একমাত্র শত্রু তারা আর দুই প্রতিবেশী। কোনোভাবে শান্তি দেয়নি। মাঝে মাঝেই তারা হুমকি দিত। এই জায়গা আর বাড়ি নিয়ে ঝামেলা ছিল। এই বাড়ি নিয়ে ওদের মারছে।’’
ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, ‘‘লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। তার মেয়ে ভেতরে ঢুকে প্রথম লাশ দেখতে পান। প্রাথমিকভাবে লাশ দেখে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে মনে হয়েছে। আত্মহত্যা কি-না সেটি ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে।’’
এক সঙ্গে মা ও দুই ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী স্তম্ভিত হয়ে গেছে। লাশ দেখতে স্থানীয় হাজারো মানুষ বাড়িতে ভিড় জমায়।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে এখনো শাহবাগে অবরোধকারীরা
জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং স্থায়ী বিধানে যুক্ত করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আজ শুক্রবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। গতকালের মতো আজকেও শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের (আহত) ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অবরোধকারীরা অবস্থান করছেন