প্রতিযোগিতাটা টের পাচ্ছেন ‘ছন্দে’ ফেরা ইবাদতও
Published: 2nd, June 2025 GMT
২০২৩ সালের জুলাইয়ে যখন ইবাদত হোসেন চোটে পড়েন, তখনো তাঁর গতি তাঁকে আলাদা করত সবার থেকে। আগের কয়েক বছরে এই একটা জায়গায় তিনি হয়ে গিয়েছিলেন এক্স–ফ্যাক্টর, আলাদা। বছর দুয়েক পরও কি তেমন আছে সবকিছু? উত্তর হচ্ছে, না। আজ মিরপুরে সাদা পোশাকের ম্যাচ আবহের প্রস্তুতিতে তাঁর সঙ্গী একজনও যেমন এখন গতির কারণে খ্যাতি পেয়েছেন, তাঁর নাম নাহিদ রানা। জাতীয় দলেও এখন তিনি থিতু।
এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন আর নতুন নয়। যে ধরনের পেসারই খুঁজতে যান, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কয়েকজন থেকে যান। সুযোগ পাওয়া বোলাররা সব সংস্করণে পারফর্মও করছেন নিয়মিত। দলের সবচেয়ে ভরসার জায়গা হয়ে উঠছেন পেসাররা। তা লম্বা চোট কাটিয়ে ফেরা ইবাদতেরও ভালোই জানা।
আজ মিরপুরে অনুশীলনের পর তা ইবাদত নিজেই বললেন, ‘২০২২ সালের পর থেকে আমাদের সুস্থ প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছেন। বিশেষ করে আমাদের পেস বোলিংয়ে সবাই প্রায় সমান। যে কাউকে যেকোনো সংস্করণে নিতে পারেন। এ জিনিসটা আমাদের জন্য খুবই ভালো। আমরা একজন আরেকজনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি। সবাই ১৯–২০। এটা খুব ভালো জিনিস।’
চোটের কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন ইবাদত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’