২০২৩ সালের জুলাইয়ে যখন ইবাদত হোসেন চোটে পড়েন, তখনো তাঁর গতি তাঁকে আলাদা করত সবার থেকে। আগের কয়েক বছরে এই একটা জায়গায় তিনি হয়ে গিয়েছিলেন এক্স–ফ্যাক্টর, আলাদা। বছর দুয়েক পরও কি তেমন আছে সবকিছু? উত্তর হচ্ছে, না। আজ মিরপুরে সাদা পোশাকের ম্যাচ আবহের প্রস্তুতিতে তাঁর সঙ্গী একজনও যেমন এখন গতির কারণে খ্যাতি পেয়েছেন, তাঁর নাম নাহিদ রানা। জাতীয় দলেও এখন তিনি থিতু।

এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন আর নতুন নয়। যে ধরনের পেসারই খুঁজতে যান, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কয়েকজন থেকে যান। সুযোগ পাওয়া বোলাররা সব সংস্করণে পারফর্মও করছেন নিয়মিত। দলের সবচেয়ে ভরসার জায়গা হয়ে উঠছেন পেসাররা। তা লম্বা চোট কাটিয়ে ফেরা ইবাদতেরও ভালোই জানা।

আরও পড়ুনপাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেলেন সিমন্স ৬ ঘণ্টা আগে

আজ মিরপুরে অনুশীলনের পর তা ইবাদত নিজেই বললেন, ‘২০২২ সালের পর থেকে আমাদের সুস্থ প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছেন। বিশেষ করে আমাদের পেস বোলিংয়ে সবাই প্রায় সমান। যে কাউকে যেকোনো সংস্করণে নিতে পারেন। এ জিনিসটা আমাদের জন্য খুবই ভালো। আমরা একজন আরেকজনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি। সবাই ১৯–২০। এটা খুব ভালো জিনিস।’

চোটের কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন ইবাদত.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ