পরিকল্পিত আধুনিক আবাসনের নিশ্চয়তা: শেল্টেক–এর সঙ্গে নিশ্চিন্তে পথচলা
Published: 2nd, June 2025 GMT
রোজকার মতোই শহরবাসীর দিন শুরু হয় গাড়ির হর্ন, হুড়োহুড়ি আর নিরন্তর ট্রাফিক জ্যামের ভিড়ে। হাঁটতে চাইলেও ফুটপাতে জায়গা নেই, শান্তিতে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার নেই উপায়। শরীরকে ফিট রাখতে জিমে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, অফিসের পর সন্ধ্যার তীব্র যানজট আর ক্লান্তির ভারে সুযোগ হয়ে ওঠে না।
স্কুল থেকে ফিরে শিশুরাও এখন ভিডিও গেমস আর ফোনের স্ক্রিনে বন্দী। শহরে তাদের জন্য নিরাপদে খেলার মাঠ কিংবা ছুটোছুটির জায়গা নেই বললেই চলে। আর নগরায়ণের এই ধারা বয়স্কদেরও ঠেলে দিচ্ছে চার দেয়ালের গণ্ডির মধ্যে, ঘরে নেই প্রাকৃতিক আলো–বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ, নেই হাঁটাহাঁটি করার মতো খোলা জায়গা বা সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রাণবন্ত পরিসর।
শহরের ব্যস্ততা, কাজের চাপ আর নিত্য রুটিনে আবদ্ধ মানুষগুলো খুঁজে ফেরে একটু শান্তি, নিরাপত্তা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন, খোলামেলা ও প্রাকৃতিক আলো বাতাসে পরিপূর্ণ আধুনিক আবাসন। এই ভাবনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও বিশ্বস্ত আবাসন প্রতিষ্ঠান শেল্টেক্ ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বড় মগবাজারে নির্মাণ করছে একটি আধুনিক আবাসিক প্রকল্প ‘শেল্টেক্ ক্রিমসন প্যালেস’। উন্নত নির্মাণশৈলী, পরিকল্পিত নকশা, আধুনিক জীবনধারা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধার এক অনবদ্য সমন্বয়ে গড়ে উঠছে এই স্বনির্ভর কমিউনিটি আবাসন প্রকল্পটি।
মগবাজারে আধুনিক নাগরিক জীবনযাত্রার নতুন ঠিকানা শেল্টেক্ ক্রিমসন প্যালেস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’