সদ্য সমাপ্ত মে মাসে দেশে বয়ে গেছে একটি নিম্নচাপ। চলতি জুনেও আরেকটি নিম্নচাপের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ মাসে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দিতে পারে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে। এছাড়া, চলতি মাসে দু’-একটি তাপপ্রবাহ হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

সোমবার (২ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া জুন মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো.

মমিনুল ইসলাম জানিয়েছন, মে মাসের শেষভাগে এসে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি স্থলভাগে উঠে বাংলাদেশ হয়ে ভারতের আসাম, মেঘালয়ে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। এর প্রভাবে কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে এবং ভারতের সীমান্তবর্তী অঙ্গরাজ্যগুলোতে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে দেশের অভ্যন্তরে কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।

আরো পড়ুন:

ঢাকাসহ সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

ঘাটে তিনদিন অপেক্ষার পর গন্তব্যে পৌঁছাল ৪ মরদেহ

আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, জুনে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, তার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তবে, সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

জুন মাসে এক বা দুটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়া, এ মাসে দেশে ছয় থেকে আট দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। আবার জুনে দেশে এক থেকে দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮-৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

এদিকে, পুরো জুনে দৈনিক গড় বাষ্পীভবন থাকবে তিন থেকে পাঁচ মিলিমিটার এবং গড় উজ্জ্বল সূর্যকিরণ থাকবে চার থেকে ছয় ঘণ্টা।

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ