বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা নিহত
Published: 2nd, June 2025 GMT
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় শারফুদ্দীন মাহমুদ খান (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি এ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
রবিবার (১ জুন) রাতে নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার নামুইট-বেলঘড়িয়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শারফুদ্দীন মাহমুদ খান উপজেলার বিলসা বেলঘড়িয়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় দলিল লেখক ছিলেন।
নিহতের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন আদর।
নন্দীগ্রাম দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আখতারুজ্জামান উজ্জ্বল জানিয়েছেন, ভাটরা ইউনিয়নের বিলসা বেলঘড়িয়া গ্রামের দলিল লেখক শারফুদ্দীন মাহমুদ খান নন্দীগ্রামে তার কাজ শেষ করে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। বেলঘড়িয়ায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, শারফুদ্দীন মাহমুদ খানের লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/এনাম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নন দ গ র ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ শীর্ষ নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের যে খবর কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর’ বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার (৪ জুন) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এ বিষয়ে বলেছেন, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যারা তা পরিচালনা করেছেন, সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে, সরকারের অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হন।”
তিনি জানান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মীসহ বিদেশে কর্মরত কূটনীতিকরাও ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পান।
আরো পড়ুন:
চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা নিচ্ছেন তার স্ত্রী
কুমিল্লার সেই মুক্তিযোদ্ধা কানুর বাড়িতে গভীর রাতে হামলা
ফারুক-ই-আজম বলেছেন, “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা মানে তাদের সম্মান বা মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা—দুয়েরই মর্যাদা, সম্মান এবং সুযোগ-সুবিধা সমান থাকবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭২ সালের মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা অনুযায়ীই বর্তমানে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরে ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই সংজ্ঞায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়, যা আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকেই করা হয়েছে।
এ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
ঢাকা/হাসান/রফিক