নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ চলছে: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
Published: 2nd, June 2025 GMT
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ঈদের ছুটি ও শিক্ষকদের কেউ কেউ ছুটিতে থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগছে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিগগিরই প্রস্তাবিত নামগুলো তাদের আনুষ্ঠানিক সম্মতির ভিত্তিতে ঈদের ছুটি শেষে অনুষ্ঠেয় সিন্ডিকেটে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেটে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হবে। কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের পরবর্তী ধাপগুলো শুরু হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও আগ্রহকে সম্মান জানিয়ে প্রশাসন একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের একটি টাইমলাইন (সময়সীমা) প্রকাশ করে। এটা অনুসারেই নির্বাচন আয়োজনের কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। ঘোষিত টাইমলাইন অনুসারে চতুর্থ ধাপের কাজ পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম ধাপের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চতুর্থ ধাপ পর্যন্ত কার্যক্রমের ফলাফল নিয়ে পঞ্চম ধাপে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্বের বৈঠক গত ১৩ মে সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের ছুটির পর ক্যাম্পাস খোলা হলে সেটি সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া ষষ্ঠ ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সময় নির্বাচনসংক্রান্ত বৈঠক আয়োজনে সাময়িক স্থবিরতা সৃষ্টি হলেও ঘোষিত টাইমলাইন অনুসারে সপ্তম ধাপের কাজ তথা ডাকসু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে সাতজন শিক্ষকের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনজনের নাম প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.                
      
				
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’