Prothomalo:
2025-08-01@04:45:46 GMT

কীভাবে শোয়া সবচেয়ে ভালো

Published: 3rd, June 2025 GMT

চিত হয়ে শোয়া

চিত হয়ে শুলে শ্বাসপ্রশ্বাস খানিকটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যাঁদের ঘুমের মধ্যে শ্বাসের সমস্যা হওয়ার প্রবণতা থাকে বা যাঁরা নাক ডাকেন, তাঁদের জন্য চিত হয়ে শোয়া ভালো নয়। তবে যাঁদের কোমরব্যথা আছে, তাঁদের জন্য কখনো কখনো চিত হয়ে শোয়া ভালো হতে পারে, যদি মেরুদণ্ড সোজা রেখে শোয়া যেতে পারে আর বালিশের উচ্চতা ঠিক হয়।

কাত হয়ে শোয়া

বেশির ভাগ মানুষের জন্যই কাত হয়ে শোয়া ভালো। মেরুদণ্ড সোজা রেখে কাত হয়ে শুলে ব্যথা-বেদনা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যার ঝুঁকি কমে। তবে কোনো পাশের ঘাড়ে ব্যথা থাকলে সেই পাশ ফিরে না শোয়াই ভালো। অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগলে ডান কাতে নয়, বাঁ কাতে শোয়া ভালো, তাতে সমস্যার উপশম হয়। অন্তসত্ত্বা নারীদেরও বাঁ কাতে শোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, তাতে পেটের অভ্যন্তরে কোথাও বাড়তি চাপ পড়ে না শোয়ার সময়। তবে বছরের পর বছর টানা একই দিকে শুয়ে থাকার (অর্থাৎ যদি একেবারেই নড়াচড়া করা না হয়) একটা বিপত্তিও দেখা দিতে পারে। তা হলো বলিরেখা। মুখের একই অংশে ক্রমাগত চাপ পড়তে পড়তে একসময় বলিরেখা সৃষ্টি হতে পারে আপনার মুখে।

আরও পড়ুনসারা দিন শুধু ঘুম পায়, কী করব?১৪ ডিসেম্বর ২০২৪উপুড় হয়ে শোয়া

কেউ কেউ উপুড় হয়ে শুলে আরাম পান। তবে এই ভঙ্গি মেরুদণ্ডের জন্য ক্ষতিকর। তাই ব্যথা-বেদনা বাড়তে পারে। বলিরেখার ঝুঁকিও থাকে। সাময়িক আরাম অনুভব করলেও এই ভঙ্গিতে না শোয়াই ভালো।

এমনভাবে বালিশ বেছে নিন, যাতে শোয়ার সময় কাঁধের স্বাভাবিক বক্রতা বজায় থাকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ত হয় র জন য সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ