ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন জেসন হোল্ডার ও আন্দ্রে রাসেল। দলে নেই নিকোলাস পুরান। তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলে ক্লান্ত থাকায় নিজ থেকে সরে গেছেন বাঁহাতি হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। 

মঙ্গলবার ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটায় মুখোমুখি হবে। এরপর তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। ইংল্যান্ড থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল আয়ারল্যান্ড সফর করে আরো তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। 

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন হোল্ডার। ইনজুরির কারণে পরবর্তীতে বিশ্বকাপও মিস করেন ডানহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার। রাসেল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত নভেম্বরে বার্বাডোজে খেলেছিলেন। তবে পুরো সিরিজ খেলতে পারেননি। গোড়ালির চোটের কারণে বিশ্রামে চলে যেতে হয়েছিল তাকে। 

আরো পড়ুন:

ফ্র্যাঞ্চাইজি ফোকাসে ক্লাসেন, থেমে গেল আন্তর্জাতিক অধ্যায়

ওয়ানডে থেকে অবসর ঘোষণা ম্যাক্সওয়েলের

রোভম্যান পাওয়েলের পরিবর্তে এই সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন শাই হোপ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন পাওয়েল। যদিও দলে টিকে গেছেন তিনি। 

দল থেকে বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার জাস্টিন গ্রেভস, সামার স্প্রিঙ্গার ও টেরেন্স হিন্ডস। দলে ফিরেছেন শেফরেন রাদারফোর্ড। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে): শেই হোপ, জনসন চার্লস, রস্টন চ্,ে ম্যাথু ফোর্ড, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, ইভিন লুইস, গুদাকেশ মোতে, রোভম্যান পাওয়েল, আন্দ্রে রাসেল, শেফরেন রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে): শেই হোপ, ক্যাচি কার্টি, জনসন চার্লস, ম্যাথু ফোর্ড, জেইড গুলি, সিমরন মেটমায়ার, জনসন চার্লস, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, এভিন লুইস, গুদাকেশ মোতে, রোভম্যান পাওয়েল, শেফরেন রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইন ড জ ক র ক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ