কোহলি অনেক করেছেন, তাঁর জন্য আইপিএল জিততে চায় বেঙ্গালুরু
Published: 3rd, June 2025 GMT
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) আজ ফাইনাল দিয়ে শেষ হচ্ছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ১৮তম মৌসুম। আগের ১৭ মৌসুমে চেষ্টা করেও শিরোপার স্বাদ পায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও বিরাট কোহলি।
তবে উভয়ের অপেক্ষা শেষ হতে পারে আজ। গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ রাতের ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে জিতলেই বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএল ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন কোহলি।
পাঞ্জাবকে হারিয়ে শিরোপা জিততে উন্মুখ হয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক রজত পতিদার। আর জেতার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে সামনে রেখেছেন কোহলিকে। পতিদার বলেছেন, কোহলির জন্য আজ তাঁরা শিরোপা জিততে চান।
আরও পড়ুনআইপিএল ফাইনাল: চ্যাটজিপিটির হিসাবে যে দল চ্যাম্পিয়ন৪ ঘণ্টা আগেবেঙ্গালুরু এবার আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে ৯ বছর পর। এর আগে ২০১৬ সালে ফাইনালে উঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরেছিল বেঙ্গালুরু। তার আগে ২০০৯ ও ২০১১ সালেও ফাইনালে হেরে যান কোহলিরা। তবে এবার কোহলির জন্যই ইতিহাস বদলাতে চান পতিদার। ফাইনালের আগে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা তার (কোহলি) জন্য এটা জিততে চাই। বছরের পর বছর ধরে সে ভারত ও আরসিবির জন্য অনেক কিছু করেছে।’
শ্রেয়াস আইয়ার (বাঁয়ে) না রজত পাতিদার, আইপিএল ট্রফিটা এবার কার হাতে উঠবে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।