ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) আজ ফাইনাল দিয়ে শেষ হচ্ছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ১৮তম মৌসুম। আগের ১৭ মৌসুমে চেষ্টা করেও শিরোপার স্বাদ পায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও বিরাট কোহলি।

তবে উভয়ের অপেক্ষা শেষ হতে পারে আজ। গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ রাতের ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে জিতলেই বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএল ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন কোহলি।

পাঞ্জাবকে হারিয়ে শিরোপা জিততে উন্মুখ হয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক রজত পতিদার। আর জেতার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে সামনে রেখেছেন কোহলিকে। পতিদার বলেছেন, কোহলির জন্য আজ তাঁরা শিরোপা জিততে চান।

আরও পড়ুনআইপিএল ফাইনাল: চ্যাটজিপিটির হিসাবে যে দল চ্যাম্পিয়ন৪ ঘণ্টা আগে

বেঙ্গালুরু এবার আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে ৯ বছর পর। এর আগে ২০১৬ সালে ফাইনালে উঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরেছিল বেঙ্গালুরু। তার আগে ২০০৯ ও ২০১১ সালেও ফাইনালে হেরে যান কোহলিরা। তবে এবার কোহলির জন্যই ইতিহাস বদলাতে চান পতিদার। ফাইনালের আগে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা তার (কোহলি) জন্য এটা জিততে চাই। বছরের পর বছর ধরে সে ভারত ও আরসিবির জন্য অনেক কিছু করেছে।’

শ্রেয়াস আইয়ার (বাঁয়ে) না রজত পাতিদার, আইপিএল ট্রফিটা এবার কার হাতে উঠবে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ