ঘরের ভেতর বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল নবদম্পতির লাশ
Published: 3rd, June 2025 GMT
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় এক দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রাম থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাসেল মিয়া (১৮) ও তাঁর স্ত্রী জুঁই খাতুন (১৫)। রাসেল ডাকেরপাড়া গ্রামের জাকিরুল ইসলামের ছেলে ও রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ ও বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্ক থেকে তিন মাস আগে রাসেলের সঙ্গে জুঁইয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ভালোভাবেই তাঁদের সংসারজীবন চলছিল। গতকাল সোমবার রাতেও স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান তাঁরা। কিন্তু আজ সকাল সাতটার দিকে রাসেলের মা রাশিদা বেগম ঘরের দরজায় গিয়ে ছেলেকে ডাকাডাকি করেন। দীর্ঘ সময় ধরে কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে ভেতর উঁকি দিয়ে দেখেন, রাসেল ও তাঁর স্ত্রী বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর পাঠায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাসেল ও জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে লাশ দুটি গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’