চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরার জাহাজ (ফিশিং ভেসেল) থেকে পড়ে দুই নাবিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে নগরের সদরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন জাহাজের সুকানি মোহাম্মদ আলতাফ ও প্রধান বাবুর্চি নুর উদ্দিন। তাঁরা দুজনই নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা।

নৌ পুলিশ জানায়, এফভি সুরভি ১ ও এফভি সিহার্ট ১ নামের দুটি জাহাজের কর্মচারী তাঁরা। সোমবার রাতে জাহাজ দুটির মধ্যে একটি উপকূলে ছিল, অন্যটি ছিল নদীতে। তীরে থাকা জাহাজটিকে আরেকটি জাহাজের সাহায্যে টেনে নামানো হচ্ছিল। তখন হঠাৎ রশি ছিঁড়ে যায়। এরপর জাহাজের দুই নাবিক পানিতে পড়ে যান।

সদরঘাট নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজিম উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, একটি ফিশিং ভেসেল আরেক ভেসেলকে টেনে নদীতে নামাচ্ছিল। রশি ছিঁড়ে গেলে দুই নাবিক পা পিছলে নদীতে পড়ে যান। এতে দুজনের মৃত্যু হয়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।

তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ